শফিউল আলম, রাউজান ঃ বিপ।রব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাউজান উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রধনের নেতা কর্মীরা গতকাল ৭ নভেম্বর শুক্রবার রাঙ্গুনিয়া বিএনপির প্রতিষ্টাতা সাবেক রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধীতে পুস্পস্তবক অর্পন করার মাধ্যমে শ্রদ্বা নিবেদন করেন । জিয়াউর রহমানের সমাধীতে শ্রদ্বা নিবেদন শেষে রাউজানের নোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকালে সমাবেশ করেন বিএনপির চেয়ারর্পাসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা।
সমাবেশে টেলিকনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারর্পাসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, সুযোগ পেলে রাউজানকে আমি সন্ত্রাসমুক্ত শান্তির রাউজান প্রতিষ্ঠা করব । বিএনপি চেয়ারপারসন এর উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জনাব গোলাম আকবর খোন্দকার আরো বলেন, ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনা ধারণ করে রাউজানেও একটি ব্যালট বিপ্লব করতে হবে। রাউজানে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী , দখলবাজি, গুম ও খুনের বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করে ধানের শীষের পক্ষে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে রাউজানকে একটি সমৃদ্ধশালী ও শান্তির জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।তিনি আরো বলেন, রাউজানের আপাময় জনসাধারণ যদি আমাকে সুযোগ দেয়, তাহলে আমি সুখী সমৃদ্ধশালী সন্ত্রসমুক্ত ও একটা শান্তির রাউজান প্রতিষ্ঠা করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। গোলাম আকবর খোন্দকার আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সমগ্র জাতি যখন অনিশ্চয়তার সম্মুখীন, তখন সিপাহি-জনতার মিলিত বিপ্লব জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়ে দেশপ্রেমের এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে এনে সিপাহি-জনতা তাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি ক্রান্তিময় সেই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দেশে প্রবর্তন করেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। সূচনা করেন উন্নয়ন ও উৎপাদনের নবধারার রাজনীতি।তাই ৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনের এক অনন্য ঐতিহাসিক তাৎপর্যমণ্ডিত দিন। সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদ, একনায়কতন্ত্র, একদলীয় শাসন, জনজীবনে বিশৃঙ্খলাসহ তখনকার বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটে। একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে দেশ একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশে ফিরে এসেছিল। গত ৭ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে নোয়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জনাব শরাফত উল্লাহ বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় ভার্চুয়ালে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখছিলেন। রাউজন উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক নাসির উদ্দিন ও যুবদল নেতা এন আই বাবুলের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক জসীম উদ্দিন চৌধুরী, প্রধান বক্তা হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ জসিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে রাউজান পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।

জনসভায় বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব রাউজান উপজেলা বিএনপির বিএনপি নেতা নাসিম উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম নুরুল হুদা, জিএম মোরশেদ, মুরাদুল আলম, জসীম উদ্দীন, সেলিম নূর, এডভোকেট রফিকুল আলম, এডভোকেট আবু সাঈদ, দিদারুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোহাম্মদ রফিক, জিয়াউদ্দিন হায়দার কমলেন্দুশীল, সিরাজ মেম্বার, এমদাদুল হক, সিরাজউদ্দৌল্লাহ চেয়ারম্যান, রহিম উদ্দিন ওয়াসিম, আব্দুল মান্নান, আবু তাহের সওদাগর, দিদারুল আলম, আফসারুজ্জামান, মোঃ ফারুক, মাহাবুল আলম, আনোয়ার হোসেন, মাহাবুবুল আলম, শেখ জাহাঙ্গীর, সেলিম উদ্দিন, পিয়ার মোহাম্মদ বাবু, নাঈম উদ্দিন মিনহাজ, মাসুদ পারভেজ রনি, মুরাদুর রহমান, ফোরকান সিকদার প্রমূখ। অপরদিকে গতকাল ৭ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে রাউজান কলেজ মাঠে সমাবেশ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমাাবেশে তার বক্তব্যে বলেন,যতক্ষণ পর্যন্ত আমার শরীরে রক্ত থাকবে, ততদিন আমি নির্বাচন করবো । বিএনপির শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখে স্থগিত হওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছেন,আমার রক্তের সঙ্গে রাউজানের মানুষের রক্ত মিশে আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমার শরীরে রক্ত থাকবে, ততদিন আমি নির্বাচন করবো এবং আমি নির্বাচন করবোই ইনশাআল্লাহ ।৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপিনেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী আরো বলেন, “আমি বাবা হারিয়েছি জেলখানায়, ভাই হারিয়েছি জেলখানায়। হয়তো আমার মৃত্যুও হতো জেলখানায়। কিন্তু মানুষের ভালোবাসাই আমাকে টিকিয়ে রেখেছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে স্বৈরাচারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী সরকারের আমলে মসজিদের ইমাম ও পুরোহিত পর্যন্ত কথা বলতে পারেনি।”মাদক কারবারীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী আরও বলেন, “মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে টাকা দিয়ে ব্যবসা করে। পুলিশ যেন ব্যবসায়ী না হয় ।এটাই আমার আহ্বান।”রাউজান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল হুদার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা বিএনপির সদস্য আবু জাফর চৌধুরী, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুরুল হক, বিএনপি নেতা হাবিবুল্লাহ মাষ্টার, সাবেক পৌর কাউন্সিলর রেজাউল রহিম আজম, বিএনপি নেতা ফয়েজুল ইসলাম চৌধুরী টিপু, মুসলেহ উদ্দিন, উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজল, সেলিম উদ্দিন, ইউছুপ তালুকদার, একরাম মিয়া, শাহজাহান শাহিল, শাহাদাত মির্জা, তছলিম উদ্দিন, সাইফুল আজম ছোটন, মোহাম্মদ আলী সুমন, আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ রেওয়াজসহ আরও অনেকে। বিএনপির দুই গ্রুফের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সমগ্র রাউজানে সাধারন মানুষের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি৫ হয় । কোন ধরনের সংঘাত ও সংর্ঘষ প্রতিরোধে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপর থাকতে দেখা যায় ।











