এবার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ৬৭ বিলিয়ন ডলার

চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলারের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সার্বিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১১ শতাংশ। পণ্য রপ্তানি খাতে নতুন আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৫৮ বিলিয়ন ডলার। আর সেবা খাতে ৯ বিলিয়ন ডলারের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণার আগে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, রপ্তানির নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় এনেছে। সেগুলো হলো- সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতি ও বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির অর্জনের গতিধারা, পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণে সরকার প্রদত্ত আর্থিক সুবিধা, বিশ্ববাণিজ্যের সাম্প্রতিক গতিধারা, দেশে করোনার প্রভাব, রপ্তানি সম্ভাবনাময় পণ্য ও সেবা খাতের বিকাশ, রপ্তানি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পরামর্শ এবং চলতি অর্থবছরের বাজেটে করোনা মোকাবিলায় সরকারের নেয়া নানামুখী উদ্যোগ।

এসব বিবেচনায় রেখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সরকার দেশে সর্বোচ্চ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি বাণিজ্যমন্ত্রীর।

২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সার্বিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরা হয় ১২.৩৭ শতাংশ। এর বিপরীতে বছর শেষে ১৭.৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রপ্তানি আয় অর্জন হয় ৬০.০৮ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে বছর শেষে ৩৪.৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে পণ্য রপ্তানি খাতে ৪৩.৫ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫২.০৮ বিলিয়ন ডলার অর্জন হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯.৭৩ শতাংশ বেশি।

সেবা খাতে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮ বিলিয়ন ডলার আয় হয়, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬.৬৭ শতাংশ বেশি।