শান্তিময় সমাজ গঠনের অঙ্গীকারে পালিত হোক পবিত্র ঈদ উল আযহা

ঈদুল আযহার দিন সমগ্র মুসলিম জাতি ইব্রাহীমী সুন্নাত পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রাণপণ চেষ্টা করবে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে গণমাধ্যমে প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুচ ছালাম বলেন, ঈদের উৎসব একটি ধর্মীয় উৎসব। এটি সমষ্টিগতভাবে আনন্দ লাভের উপলক্ষও বটে। পবিত্র ঈদ আমাদেরকে সকলের সাথে সদ্ভাব, আন্তরিকতা এবং বিন¤্রতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দেয়। মুসলমানদের জীবনে এই সুযোগ সৃষ্টি হয় বছরে মাত্র দু’বার একটি হলো ঈদুল ফিতর আরেকটি হলো ঈদুল আযহা ।
ঈদের জামাতে মানুষে মানুষে পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে ধনী-দরিদ্র, রাজা-প্রজা একই কাতারে দাঁড়িয়ে দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করেন এবং পরস্পরে কুশল বিনিময় করে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়, জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং আন্তরিক মহানুভবতায় পরিপূর্ণ করে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাস্ট্র পরিচালনায় থাকলে দেশের জনগন অনেক কিছু পায়। প্রতিটি ঈদে তিনি দেশের মানুষের আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে ও স্মরণীয় করে তুলতে কিছু না কিছু সামগ্রিক উপহার হিসেবে জাতির সামনে হাজির করেন। এবারে তিনি দেশের শিক্ষা খাতকে আরো অনেক বেশী শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দেশে নতুন করে আরও ২ হাজার ৭১৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। সেই সংগে এই নতুন প্রাপ্তির জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন। আমরা জানি, ঈদুল আযহা উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র অঙ্গ হচ্ছে কুরবানী। কুরবানী হল ত্যাগ, চিত্তশুদ্ধি এবং পবিত্রতার মাধ্যম।
আসুন আমরা কুরবানির মাধ্যমে ইব্রাহীমী সুন্নাত পালনের মধ্য দিয়ে লোভ, দ্বেষ, মোহকে বিসর্জন দিয়ে পরিশুদ্ধ জীবন গঠনের মাধ্যমে শান্তিময় সমাজ গঠনে ব্রতী হই। সবাইকে পবিত্র ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা। সকলেই সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন, সকলের কল্যাণ সাধিত হোক। সকলকে ধন্যবাদ।