রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোটা বৈষম্য ও অনিয়মের প্রতিবাদে জেলায় হরতাল চলছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই হরতাল চলবে আগামীকাল শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সড়ক ও নৌ–দু’পথেই শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংগঠনগুলো। জরুরি সেবার যানবাহনকে হরতালের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের বনরূপায় একটি রেস্তোরাঁয় ‘কোটাবিরোধী ঐক্যজোট, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ’-এর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ হরতালের ডাক দেওয়া হয়।

হরতালকে সমর্থন জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। সমর্থন জানিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় শহরে মিছিল–সমাবেশও করেছে সংগঠনগুলো। হরতাল ঘিরে রাঙ্গামাটি শহর ছাড়াও বাঘাইছড়ি, লংগদুসহ বিভিন্ন উপজেলায় পিকেটিং চলছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকেই রাঙ্গামাটিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাঙ্গামাটি থেকে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, চট্টগ্রামসহ দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। নৌপথেও রাঙ্গামাটি থেকে কিংবা অন্যান্য উপজেলা থেকে কোনও লঞ্চ বা বোট চলাচল করছে না। শহরের একমাত্র পরিবহন সিএনজি অটোরিকশাও বন্ধ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জারিকৃত প্রজ্ঞাপন তুলে ধরে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭ শতাংশ কোটা রেখে বাকি ৯৩ শতাংশ পদে মেধাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এ দাবি উত্থাপনের পর রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, ‘কোনো মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন নয়, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিজস্ব আইন দিয়েই পরিষদ পরিচালিত হবে।’ তার এ মন্তব্যে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া পরিষদের প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোনো কোটা উল্লেখ না থাকা এবং শূন্যপদের সংখ্যা স্পষ্ট না করার অভিযোগও তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ‘কোটাবিরোধী ঐক্যজোট, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ’। এসব অনিয়মের কারণেই হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।











