টাকার জন্য পিএসজির দাস হয়ে যায় খেলোয়াড়রা: বার্সা সভাপতি

প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) অর্থের দাপট অজানা নয় কারোর। লা প্যারিসিয়ানদের লোভনীয় প্রস্তাবে শৈশবের প্রেম রিয়াল মাদ্রিদকে ঘোল দিতেও দ্বিধা বোধ করেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। পিএসজির টাকার ঝংকারে বছর পাঁচেক আগে বার্সেলোনার সঙ্গে সর্ম্পক ছিন্ন করেছিলেন নেইমার। বছরের শুরুতে লিওনেল মেসিকেও বাগিয়ে নিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা মনে করেন, পিএসজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়রা তাদের দাসে পরিণত হয়েছে।

২০১৭ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পিএসজিতে যোগ দেন নেইমার। তবে দলবদলের আগে বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। যার জেরে নেইমার-বার্সেলোনা একে অপরকে দোষারোপ করে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একাধিকবার। মামলা-মোকদ্দমা শেষ হয়েছে বছরখানেক আগে। এবার নেইমারের বার্সেলোনায় ফেরার সম্ভাবনা জেগেছে। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই ক্ষোভ ঝাড়েন বার্সেলোনা সভাপতি

এলএস্পোর্তিও ডি কাতালুনিয়াকে লাপোর্তা বলেন, ‘নেইমারকে কে পছন্দ করে না? সে অবিশ্বাস্য একজন খেলোয়াড়… কিন্তু এই সব খেলোয়াড়কেই একদিন ফ্রিতে বার্সায় ফিরতে হবে।’
নেইমার নিজ ইচ্ছায় পিএসজিতে যোগ দিলেও মেসি কিন্তু থাকতে চেয়েছিলেন বার্সেলোনায়। বরং স্প্যানিশ লা লিগার বেতন কাঠামোর অজুহাত দিয়ে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের চুক্তি নবায়ন করেনি বার্সেলোনা। সে যাই হোক লাপোর্তার মতে, টাকার জন্যই পিএসজির দাস বনে যায় ফুটবলাররা। তিনি বলেন, ‘যেসকল খেলোয়াড় পিএসজির মতো ক্লাবে চুক্তি করেছে, তারা আসলে দাসত্বে সই করেছে। শুধুমাত্র টাকার জন্য।’

ফরাসি গণমাধ্যম লে’কিপের দাবি, ভালো প্রস্তাব পেলে নেইমারকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত পিএসজি। এরপরই বার্সেলোনার সঙ্গে নাম জড়িয়ে খবরের শিরোনাম হন নেইমার। বার্সা বস জাভি হার্নান্দেজ অবশ্য জানিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেই তাদের পরিকল্পনায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জাভি বলেন, ‘নেইমার পিএসজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তাই এটা বলা (নেইমারকে বার্সায় আনা) বেশ কঠিন। নেইমার এমন খেলোয়াড় যাকে অপছন্দ করা যায় না। কিন্তু সত্যি বলতে, আমরা তার বিষয়ে এখনো ভাবিনি।’

২০২৫ সাল পর্যন্ত পিএসজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নেইমার। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাকে দলে টানতে গুণতে হবে মোটা অংকের অর্থ। যা আর্থিক দুর্দশায় থাকা বার্সেলোনার জন্য কঠিনই। সম্প্রতি আর্লিং হালান্দের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েও অর্থের অভাবে তাকে ভেড়াতে পারেনি ব্লাউগ্রানারা। জাভি হার্নান্দেজ বার্সার দায়িত্ব নিয়ে যে ক’জন খেলোয়াড়কে ভিড়িয়েছেন, তাদের সবাই ফ্রি এজেন্ট হয়ে ন্যু-ক্যাম্পে এসেছেন।