৬ দফা মানলেই ‘থেমে যাবে’ ইউক্রেন যুদ্ধ!

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ছয় দফা প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়ার পার্লামেন্ট দুমা।

পার্স টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (১৩ মার্চ) দুমার ডেপুটি স্পিকার মিখাইল শিরিমিত এ তথ্য জানিয়েছেন।

ক্রিমিয়া উপত্যকা সফরে গিয়ে তিনি বলেন, জেলেনস্কি যদি সত্যিই এখনো ইউক্রেনের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন, তাহলে তাকে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে নিতে হবে।

দুমার ডেপুটি স্পিকার বলেন, নব্য নাৎসিবাদীদের নিরস্ত্র করতে হবে, ইউক্রেনকে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে, দেশটির সংবিধানে নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করতে হবে যাতে কোনো আন্তর্জাতিক ব্লকে যোগ দেওয়া না যায়, ইউক্রেনের বেশিরভাগ মানুষের মাতৃভাষা অর্থাৎ রুশ ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, ক্রিমিয়া উপত্যকাকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে এবং লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলের স্বাধীনতা মেনে নিতে হবে।

মিখাইল শিরিমিত জানান, ইউক্রেনকে রাশিয়া ও তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা বিপন্নকারী দেশে পরিণতি হতে দেবে না মস্কো।

‘শান্তি আলোচনায়’ ইউক্রেন-রাশিয়া
সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার সঙ্গে চতুর্থ দফা ‘শান্তি আলোচনায়’ বসেছে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল। সোমবার (১৪ মার্চ) যুদ্ধের ১৯তম দিনে ভিডিও কলের মাধ্যমে চলছে এই বৈঠক।

বিবিসি ও আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলাক বৈঠকের একটি ছবি টুইটারে প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আলোচনায় উভয় পক্ষই তাদের অবস্থান তুলে ধরছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। অভিযানের পঞ্চম দিনে ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের প্রতিনিধিদল যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে প্রথম শান্তি আলোচনায় বসে। ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে বেলারুশের গোমেল এলাকায় হয় ওই বৈঠক।

ওই বৈঠকে আশানুরূপ ফল না পেয়ে যুদ্ধের অষ্টম দিন ৩ মার্চ যুদ্ধবিরতির পথ খুঁজতে দ্বিতীয় দফায় আলোচনায় বসে ইউক্রেন ও রুশ প্রতিনিধিদল। ওই আলোচনায়ও তেমন ফল পায়নি কিয়েভ।

পরে যুদ্ধের ১২তম দিনে ৭ মার্চ তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসে দেশ দুটি। কিন্তু বৈঠকেও যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের আসতে পারেনি রাশিয়া-ইউক্রেন।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর সোমবার (১৪ মার্চ) যুদ্ধ গড়িয়েছে ১৯তম দিনে। এই যুদ্ধে বহু হতাহত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো ইউক্রেন। প্রাণে বাঁচতে পাশের দেশে শরণার্থী হয়েছে অন্তত ২৭ লাখ মানুষ। দেশটির অনেক অঞ্চলে খাদ্য ও পানির জন্য হাহাকার করছে হাজার হাজার পরিবার।