হাসিনার ফাঁসির রায়ে চবিতে আনন্দ মিছিল

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর আনন্দ মিছিল ও মিষ্টিমুখ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে আনন্দ মিছিল শুরু করেন তারা। এরপর ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, কাটা পাহাড় সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্টে এসে মিষ্টিমুখ করেন।

মিষ্টিমুখ শেষে চবি শাখা ছাত্রশিবিরের দফতর সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, আজ শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় হয়েছে। আমরা চাই দ্রুত এ রায় বাস্তবায়ন করা হোক। বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলা ও বিভাগে হাসিনা রয়েছে। তাদেরকেও বিচার করা হোক। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও হাসিনার প্রেতাত্মারা রয়েছে, তাদেরকে বিচার করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহসান হাবিব বলেন, বাংলাদেশের ভাগ্য আকাশে এক ফ্যাসিস্টের আবির্ভাব হয়েছিল, আজ সেই ফ্যাসিস্টের ফাঁসির রায় হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই, শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে নিয়ে এসে অতি দ্রুত এই রায় কার্যকর করা হোক।

প্রসঙ্গত, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ছয় অধ্যায়ে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের অপর সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ। ২ ঘণ্টা ১০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত রায় পড়া শেষে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। মূল রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার।