কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডে ২০০ কিলোমিটার আলট্রা ম্যারাথন

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে শেষ হলো দেশের দীর্ঘতম আলট্রা-ম্যারাথন ‘কোস্টাল আলট্রা ২০২৫’। ২০০ কিলোমিটার দূরত্বের এই আলট্রা-ম্যারাথন চলে ৩ দিনব্যাপি। যেখানে অংশ নেন দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০০ দৌড়বিদ।

আলট্রা-ম্যারাথন বা আলট্রা রান দীর্ঘ দূরত্বের দৌড়। গতানুগতিক ম্যারাথন দৌড়ের দূরত্ব ৪২.১৯৫ কিলোমিটার। এর চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যের দৌড়ই আল্ট্রা ম্যারাথন। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট দূরত্বের আলট্রা-ম্যারাথন ৫০ কিলোমিটারের। এবার কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের আলট্রা-ম্যারাথন অনুষ্ঠি হলো ৫০, ১০০, ২০০ কিলোমিটার ও ১০০ মাইলের।

দেশের ইতিহাসে এই প্রথম ২০০ কিলোমিটার আলট্রা-ম্যারাথন হলো। আঁকাবাঁকা পথে দীর্ঘ পথচলা, তবুও নেই ক্লান্তির ছাপ। কেউ এবারই প্রথম, কারও দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা। সমুদ্র উপকূলের এমন মোহনীয় পরিবেশে ম্যারাথনে অংশ নিতে পেরে দারুণ খুশি তারা। এক অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘দৌড় হচ্ছে এক ধরনের স্পৃহা। যেটা একদিকে শরীরের ফিটনেস ঠিক রাখে, আরেকদিকে চ্যালেঞ্জটাকে সফল রাস্তায় নেওয়ার ক্ষেত্রে মাইন্ডসেট করে।’

দৌড়বিদদের সহায়তায় ছিলেন ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক। চার ক্যাটাগরির এই ম্যারাথনে সব ধরনের সেবা দেওয়া হয় বিনামূল্যে। দৌড়ে পিছিয়ে ছিলেন না নারী এবং বয়স্করাও। এক নারী অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘বাংলাদেশে ২০০ মিটার ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হতে দেখলাম। নিজেকে খুব সম্মানিত মনে হচ্ছে।’

উপকূলীয় অঞ্চলে আলট্রা-ম্যারাথন আয়োজনের মাধ্যমে দেশে স্পোর্টস ট্যুরিজমের প্রসার, ভ্রমণপিপাসু মানুষকে পরিবেশবান্ধব ভ্রমণে উদ্বুদ্ধকরণ, সে সঙ্গে উপকূলের পরিবেশগত ভারসাম্য ও সমুদ্র তলদেশের জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই আলট্রা-ম্যারাথনের আয়োজন।

কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশের হেড অব অপারেশন্স সুফি মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, ‘এই ম্যারাথনের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের আল্ট্রা রানকে প্রমোট করা। এবং বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সেভ দ্য সি, সেভ দ্য প্লানেট’।’

আলট্রা-ম্যারাথন আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।