কথিত বন্দুকযুদ্ধে জাবেদ নামে একজন নিহত

চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এলাকায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জাবেদ নামে একজন নিহত হয়েছেন।  এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানার ওসি সুদিপ দাশের পায়ে গুলি লেগেছে।

আজ সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে আগ্রাবাদ জাম্বুরী ফিল্ড এলাকায় এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ।

নিহত জাবেদ যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে নগরীর পাহাড়তলী বাজারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল গণপিটুনী দিয়ে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামী ছিল বলে পুলিশের দাবী।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুদিপ্ত কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- আগ্রাবাদ ‘জাম্বুরি মাঠের পাশে কৃষি অফিসের পিছনে জাবেদসহ ৩-৪ জন বসে মাদক সেবন করছিল। খবর পেয়ে আমরা সেখানে অভিযান চালাই। তারা আমাদের উপর গুলিবর্ষণ করলে আমরাও পাল্টা গুলি চালাই।’

জাবেদকে পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে ওসি জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান বলেন, সোমবার রাতে সোহেল হত্যার আসামী জাবেদের অবস্থান সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার অভিযানে যায় ওসি সদীপের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম।

এসময় জাবেদ ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। কিছুক্ষন পর সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে সেখান থেকে জাবেদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের খোয়া যাওয়া একটি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলিসহ অস্ত্রশস্ত্র এবং ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ওসি সুদিপ দাশ নিজেও ডান পায়ে গুলি লেগে আহত হয়েছেন বলে জানান। তিনিও  চট্টগ্রাম  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে নিহত জাবেদকে গত ৭ জানুয়ারী পাহাড়লীতে গণপিটুনীতে নিহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা সাবের আহমদ সওদাগরের শ্যালক ও মহিউদ্দিন সোহেল হত্যার সন্দেহজন আসামী বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবী করা হলেও স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে জানাগেছে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জাবেদ কাউন্সিল সাবের আহমদের শ্যালক জাবেদ নয়।

এ ব্যাপারে রাতে একটার দিকে সাবের আহমদের পি এ সাইফুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জাবেদের বাড়ির সামনেই আছি।  তার সাথে পুলিশের কোন সমস্যা হয়নি।  আমাদের জাবেদ মারাও যায়নি।