সারাদেশে অব্যাহত নারী নির্যাতন, ধর্ষন ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার-বিচার দাবিতে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। সমাবেশ থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জানানো হয়।
যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য প্রীতম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ চৌধুরীর সঞ্চলনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সহ-সভাপতি রুপন কান্তি ধর, নাবিলা তানজিনা, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল সামির, সদস্য গোলাম সরোযার, ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি টিকলু কুমার দে, নূরু-নাহার আক্তার শিরীন, আশিক এলাহী প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে একের পর এক নারী নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি আর মব ভায়োলেন্সের ঘটনা ঘটছে। শিশুরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। রাস্তাঘাটে, ক্যাম্পাসে নারীর জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠছে। যেখানে সেখানে মব জাস্টিসের নামে সংঘটিত হচ্ছে অপরাধ। এসব অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। আবার অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে- ধর্ষন, হত্যা ও যৌন নিপীড়নের ঘটনার বিচার চেয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দিতে গেলে পুলিশী হামলার শিকার হতে হচ্ছে। আবার মামলা দিয়ে আন্দোলনকারীদের হেনস্তা করা হচ্ছে। এসব কর্মকান্ড প্রকারন্তরে নারী নির্যাতনকারী ও ধর্ষকদের প্রশ্রয় দেয়ার শামিল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অপরাধীদের ধরতে ও তাদের বিচার করতে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ব্যর্থ হলেও, ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিকারীদের উপর পুলিশি হামলা চালিয়েছে। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের চরিত্র এই ঘটনায় উন্মোচিত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকার ধর্ষণ, নিপীড়ন, হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে নাই। সরকার বলছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। অথচ আমরা দেখছি হরহামেশাই অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। নারীদের বিরুদ্ধে মব ভায়োলেন্স উস্কে দেওয়া হয়েছে স্বয়ং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গদিতে বসে থাকার আর কোন নৈতিক অধিকার নাই। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পদযাত্রায় হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একইসাথে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তার পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। আমরা সকলকে ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গণ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতিসহ সব ধরনের অপরাধে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।