সেন্ট মেরীসকে সতর্ক করলেন ডিসি

গরীর জামালখান সেন্ট মেরীস স্কুলে বারবার অনিয়ম পাওয়াতে সতর্ক করে দিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।

এর আগে সেন্ট মেরীস স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়ায় লটারি পদ্ধতি অনুসরণ না করে প্রধান শিক্ষকের ইচ্ছামত ভর্তি করার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক অভিভাবক। ওই অভিভাবকের নাম আবু নোমান মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি অভিযোগটি দিয়ে জেলা প্রশাসককে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

অভিযোগের পর তদন্তের দায়ভার পরে তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বর্তমানে কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলামের কাছে। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত জেলা প্রশাসক বরাবর পেশ করেন।

এতে অভিযোগের সত্যতা পান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সেন্ট মেরীস স্কুলের প্রধান শিক্ষককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন এবং পরবর্তী থেকে এমন অপরাধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

এর আগে নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদেরকে বই না দেয়ার অপরাধে শোকজ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকে (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আমিরুল কায়সার।

ভুক্তভোগী অভিভাবক বলেন, সেন্ট মেরীস স্কুলের ভর্তি প্রক্রিয়াটি তারা কোন লটারির মাধ্যমে করেনি। তাদের শিক্ষকের কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে তাদেরকেই সিলেকশন করে নেয়াতে আমি জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিই। পরবর্তী একবার শুনানিতে তারা সবার সামনে লটারি করবে বলেও জানিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, সেন্ট মেরীস স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাকি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চিনতেন না। আমি অভিযোগ করার পর তারা নাকি নতুন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চিনেছেন। আমাকে এমনও বললেন, ‘আপনি আমাদেরকে ডিসি অফিস দেখালেন’।

কথা হয় সেন্ট মেরীস স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. মহসীন চৌধুরীর সাথে। তিনি জানান, আমরা সরকারি যে নীতিমালা রয়েছে সেটি অনুসরণ করেই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। ভবিষ্যতে আরও স্বচ্ছতার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি। অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, কারও সন্তান যদি লটারিতে না আসে তাহলে তো সে নিজে বিভিন্ন কথা বানিয়ে অভিযোগ করতে পারে। সেগুলো ভিত্তিহীন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন জানান, সেন্ট মেরীস স্কুলে নানা অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি। তারা ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় জেলা প্রশাসনকে না জানিয়ে নিজেরাই লটারি করেছে। এটি ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করে পরবর্তীতে আর এমনটি হবেনা বলেও জানায়।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সেন্ট মেরীস স্কুলকে আমরা শর্ত দিয়ে দিয়েছি কীভাবে ভর্তি কার্যক্রম করবে। যদি তারা আমাদের শর্ত অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে