১৯ যমজের একসঙ্গে ভর্তি নেওয়ার নির্দেশ

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ১৯ যমজ তথা ৩৮ শিশুর মধ্যে ভর্তিবঞ্চিত ১৯ শিশুকে ভর্তি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

যমজ শিশুদের ১৯ অভিভাবকের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ। আদালত বলেছেন, যমজ শিশু হলে তাদের একসঙ্গে ভর্তি নেওয়া উচিত।

চলতি শিক্ষাবর্ষে লটারিতে প্রতি যমজ শিশুর মধ্যে একজন করে ভর্তির সুযোগ পায়। অপর ১৯ শিশুর ভর্তির বিষয়ে গত ১৮ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এবং বিভিন্ন সময়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন তাদের অভিভাবকেরা। এতে ফল না পেয়ে ৮ আগস্ট আবদুল্লাহসহ ১৯ অভিভাবক ওই রিট করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাসমিয়া প্রধান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

শুনানিতে তাসমিয়া প্রধান বলেন, ভিকারুননিসা স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করা হয়। ১৯ যমজ শিশুর অভিভাবক রিট আবেদনকারী। লটারির মাধ্যমে তাঁদের একজন করে শিশু ভর্তি হয়েছে। অন্যজন হতে পারেনি। যমজ শিশুদের মানসিক অবস্থা চিন্তা করে লটারির মাধ্যমে একজন সুযোগ পেলে অন্যজনকে যেন ভর্তি নেওয়া হয়, সে বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারক আছে।

হাইকোর্টের এর আগের একাধিক সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে তাসমিয়া প্রধান বলেন, একটি ক্ষেত্রে হাইকোর্ট যমজদের ভর্তির বিষয় বিবেচনা করতে বলেছেন। অন্যটিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভর্তি বিষয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। পরে ওই শিশুদের ভর্তি করা হয়। যমজ ১৯ শিশুর অভিভাবক এখানে রিট আবেদনকারী।

আদালত বলেন, সবাই কি যমজ শিশু? ‘হ্যাঁ’সূচক জবাব দিয়ে আইনজীবী তাসমিয়া প্রধান বলেন, ১৯ অভিভাবকের যমজ শিশুর একজন করে ভর্তি হয়েছে, আরেকজন ভর্তি হতে পারেনি। যমজ শিশুদের আলাদা করলে তারা মানসিক সমস্যায় ভোগে।
আদালত বলেন, কবে ভর্তি হয়েছে? তখন আইনজীবী তাসমিয়া প্রধান বলেন, ১৯ যমজের একজন করে জানুয়ারিতে ভর্তি হয়েছে। অভিভাবকেরা অধ্যক্ষ বরাবর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরবার দরখাস্তও দিয়েছেন।

এ সময় আদালত বলেন, যমজ শিশু থাকলে তাদের একসঙ্গে ভর্তি হওয়া দরকার। যমজ শিশু হলে একসঙ্গে ভর্তি নেওয়া উচিত এবং ভর্তি নিতে হবে। রুল ও ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হলো।

রুলে ওই শিশুদের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিতে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষাসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষসহ সাত বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।