প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে

ন্যাশনাল মেরিটাইমের স্পেশাল ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নগরের সল্টগোলার ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের স্পেশাল ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ কোর্সে ১৭৭জন প্রশিক্ষণার্থী নেন।
এর মধ্যে অলরাউন্ডার হিসেবে গোল্ড মেডেল পেয়েছেন কে এম মাইনুল ইসলাম এবং সিলভার মেডেল পেয়েছেন মো. মেহেদী হাসান হিমেল।

রোববার (৫ মে) কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে দেশের সব সেক্টর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে। এরই অংশীদার হিসাবে শিপিং সেক্টরও জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাই শিপিং সেক্টরে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্রেনিং ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

‘ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিটিউট চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিটিউট মাদারীপুরের স্থাপনাদির নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শিগগির মাদারীপুর ইনস্টিটিটিউট উদ্বোধন করা হবে। সেখানে প্রতি ব্যাচে ৩০০ জন করে ২টি ব্যাচে বছরে ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিটিউট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী এবং মেহেরপুর স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যা আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে’।

বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল। অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান।

ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রেটিংদের মধ্য হতে বহু সংখ্যক নাবিক কম্পিটেন্সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সমুদ্রগামী জাহাজের ক্যাপ্টেন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার, চিফ অফিসার, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার, থার্ড অফিসার, ৪র্থ ইঞ্জিনিয়ার এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পদে দক্ষতার সঙ্গে চাকরি করে আসছেন।