ফটিকছড়িতে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মৌসুমি ফলের ব্যাপক ক্ষতি

শওকত হোসেন করিম, ফটিকছড়ি :
ফটিকছড়ি কালবৈশাখী ঝড়ো বাতাসে অনেক গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উড়ে গেছে প্রায় দশটি ঘরের টিনের চালা। উপড়ে গেছে অনেক গাছ। গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এতে অনেক স্থানে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝড়ে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গত সোমবার (৬ মে) দুপুর ২টার দিকে ঝড় শুরু হয়। এ ঝড় প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডবে শত শত গাছপালা ভেঙে রাস্তায় পড়ে আছে। শত শত হেক্টর জমির আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
দক্ষিণ পাইন্দং গ্রামের কৃষক জুলমত আলী বলেন, দুপুরে দিকে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এতে অনেক গাছ ভেঙে গেছে। উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
কৃষক শাহজাহান বলেন, ‘পেঁপে বাগানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগ পেঁপেগাছ উপড়ে গেছে। আমার অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
উপজেলার আম ও লিচুর বাগানের মো. সাইমন বলেন, ঝড়ে বাগানের আম-লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক গাছের আম-লিচু পড়ে গেছে। এতে অনেক টাকা লোকসান হয়ে গেল।
সুন্দরপুর গ্রামের বাদশা মিয়া বলেন, ‘দুপুরের ঝড়ে আমার ঘরের চালা উড়ে গেছে। এখন মেরামতের কাজ করছি। ঝড়ে আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল।’
আজ মঙ্গলবার (৭মে) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। রাস্তা-ঘাটে পড়ে থাকা গাছ সরানো হয়েছে। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বাভাবিক হয়েছেন মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট।
ফটিকছড়ি জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মোঃ আব্দুস সালাম জানান, গতকাল থেকে আমার লোক ফটিকছড়ি প্রত্যন্ত অঞ্চলে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বিদ্যুতের! অল্প সময়ের মধ্যে আমরা আল্লাহর রহমতে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক রাখতে পারবো ফটিকছড়িতে।