অতিমারি বোনাস হিসেবে প্রায় সব কর্মীকে দেড় হাজার ডলার দিচ্ছে মাইক্রোসফট। অভ্যন্তরীণ এক বার্তায় এককালীন বোনাসটিকে ‘ভিন্ন এবং চ্যালেঞ্জিং অর্থবছর শেষ করার স্বীকৃতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
মাইক্রোসফটের চিফ পিপল অফিসার ক্যাথলিন হোগান গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মীদের বোনাসের ঘোষণা দেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সব প্রান্তের যোগ্য কর্মীরা এই বোনাস পাবেন। যোগ্য বলতে গত ৩১ মার্চের আগে মাইক্রোসফটে যোগ দিয়েছে, এমন কর্মীদের বোঝানো হয়েছে। এমনকি খণ্ডকালীন এবং কর্মঘণ্টা অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও এই বোনাস পাবেন। তবে বোনাসটি করপোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট বা তার ওপরের পদের কর্মকর্তাদের জন্য নয়।
দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫০৮ কর্মী মাইক্রোসফটে কাজ করেন। তবে মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন হলেও লিংকডইন, গিটহাব ও জেনিম্যাক্সের কর্মীরা এই বোনাসের আওতায় পড়বেন না। অর্থাৎ বলা চলে কর্মীদের জন্য মাইক্রোসফটের এই উপহার প্রায় ২০ কোটি ডলারের, যা প্রতিষ্ঠানটির দুই দিনের মুনাফার চেয়েও কম।
কেবল মাইক্রোসফট নয়, সিলিকন ভ্যালির অন্যান্য বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোও কর্মীদের অতিমারি বোনাস দিয়েছে। ফেসবুক তাদের ৪৫ হাজার কর্মীকে ১ হাজার ডলার করে উপহার দিয়েছে। সম্মুখসারির কর্মীদের জন্য ৩০০ ডলার করে বোনাস দিয়েছে আমাজন। অন্যদিকে ব্রিটিশ টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিটি তাদের ৬০ হাজার কর্মীর প্রত্যেককে দেড় হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড বোনাস দিয়েছে।
করোনাকাল শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের অলাভজনক সংস্থাগুলোতে ৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার দান করেছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে আরও ৬ কোটি ডলার দেওয়ার পরিকল্পনা আছে তাদের। অন্যদিকে করোনাকালের শুরু থেকে মাইক্রোসফটের মোট আয় হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি ডলার। ক্লাউড সেবা, ল্যাপটপ ও এক্সবক্স বিক্রি এবং উইন্ডোজের ব্যবহার বাড়ায় দ্রুত এগিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
