যেসব আমলে আল্লাহর সাহায্য আসে বেড়ে যায় মানুষের রিজিক

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, মানবতার মুক্তির দূত, সাইয়্যেদুল মুরসালিন খাতামুননাবিয়ীন হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে আল্লাহ ছোবাহানাহু তায়ালা বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন- তোমাদের জন্য রাসুলের জীবনীর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। তাঁর প্রতিটি কথা, কাজ, অনুমোদন, নির্দেশনা, আদেশ, নিষেধ ও উপদেশ দুনিয়া-আখেরাতের কল্যাণের বার্তাবাহী। তিনি গোটা মানব জাতির শিক্ষক। তাঁর সে কালজয়ী আদর্শ ও অমিয়বাণী দ্যুাতি ছড়িয়ে পথপদর্শন করেছে যুগ যুগান্তরে, আলোকিত হয়েছে মানবমন্ডলী।

মানুষের অবস্থা, অবস্থান সব সময় এক রকম যায় না। পরিবেশ পরিস্থিতিও অনেক সময় পরিবর্তন হয়। কখনও মানুষের জন্য তা হয়ে উঠে অনুকূল আবার কখনও প্রতিকূল। এটাই দুনিয়াতে আল্লাহর চিরাচরিত নিয়ম। মহান আল্লাহ কুরআনে পাকে ইরশাদ করেন-

‘(হে রাসুল আপনি) বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ২৬)

কোথাও কোনো সুসংবাদ নেই। হতাশার কালো মেঘে গোটা পৃথিবী যেন অন্ধকার হয়ে আছে। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সর্বত্র। কোথাও কোনো বন্ধু নেই। আপন বলতে কেউ-ই নেই। সবাই বিপদে, কাউকে সহানুভূতির হাত বাড়ানোর যেন কেউ নেই। উল্টো দুর্দিনের সুযোগ নিয়ে সর্বস্বান্ত করার জন্য সবাই ওত পেতে আছে। এমন পরিস্থিতি থেকে বাঁচানোর মালিক একমাত্র আল্লাহই। নিম্নে এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো, যেগুলোর ওপর কেউ আমল করলে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান।

আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যারা মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে, মহান আল্লাহ তাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আর যে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।’ (সুরা তালাক, আয়াত : ৩)

যেকোনো বিপদাপদে ভেঙে না পড়ে যারা বিষয়টিকে পরিপূর্ণভাবে মহান আল্লাহর ওপর ন্যস্ত করে দেয়, আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা করে, আল্লাহ তাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ ভরসা করে তার দেখানো পথে চললেই তা থেকে তিনিই আমাদের উদ্ধার করবেন। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা যদি প্রকৃতভাবেই আল্লাহ তাআলার ওপর নির্ভরশীল হতে, তাহলে পাখিদের যেভাবে রিজিক দেওয়া হয় সেভাবে তোমাদেরও রিজিক দেওয়া হতো। এরা সকালবেলা খালি পেটে বের হয় এবং সন্ধ্যা বেলায় ভরা পেটে ফিরে আসে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৪৪)

 

সর্বদা আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দেওয়া

মানুষের জীবনে পরিস্থিতি চলে আসে, যে এই মুহূর্তে পরিবার বা আশপাশের মানুষকে খুশি করতে গেলে আল্লাহর নিষেধ করা কোনো কাজ করতে হবে। যারা এমন মুহূর্তগুলোতে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিতে পারে, আল্লাহ তাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি আকাঙ্ক্ষা করে তা মানুষের অসন্তুষ্টি হলেও, মানুষের দুঃখ-কষ্ট হতে বাঁচানোর জন্য আল্লাহ তাআলাই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪১৪)

সব ক্ষেত্রে আখিরাতকে প্রাধান্য দেওয়া

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, পার্থিব চিন্তা যাকে মোহগ্রস্ত করবে, আল্লাহ তার কাজকর্মে অস্থিরতা সৃষ্টি করবেন, দারিদ্র্য তার নিত্যসঙ্গী হবে এবং পার্থিব স্বার্থ ততটুকুই লাভ করতে পারবে, যতটুকু তার তাকদিরে লিপিবদ্ধ আছে। আর যার উদ্দেশ্য হবে আখিরাত, আল্লাহ তার সব কিছু সুষ্ঠু করে দেবেন, তার অন্তরকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত করবেন এবং দুনিয়া স্বয়ং তার সামনে এসে হাজির হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১০৫)

সকাল-সন্ধ্যা দোয়া করা

আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে সাতবার বলে, উচ্চারণ : ‘হাসবিয়াল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লাহু, আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়াহুয়া রব্বুল আরশিল আজিম’। অর্থ : ‘আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আমি তাঁর ওপর ভরসা করি এবং তিনি মহান আরশের রব।’ আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হবেন, যা তাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তার বিরুদ্ধে, চাই যেন সত্যিকারভাবে অথবা কৃত্রিমভাবে বলুক না কেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৮১)

দিনের শুরুতে চার রাকাত নামাজ আদায় করা

নুআইম ইবনে হাম্মার (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি : মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেছেন, হে আদম সন্তান, তোমরা দিনের পূর্বাহ্নের মধ্যে চার রাকাত নামাজ হতে আমাকে ত্যাগ করো না, তাহলে আমি আখিরাতে তোমার জন্য যথেষ্ট হবো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৮৯)

ইমাম আবু দাউদ, তিরমিজিসহ বিভিন্ন হাদিসবিদদের মতে, এখানে চার রাকাত নামাজ দ্বারা চাশতের নামাজের কথা বলা হয়েছে। ইবনে কায়্যিম ও ইবনে তাইমিয়্যার মতে, এখানে চার রাকাত নামাজ দ্বারা ফজরের সুন্নত ও ফরজ নামাজের কথা বলা হয়েছে।

তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা
দুনিয়ার কৃতকর্মের জন্য বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা। কেননা তাওবা-ইসতেগফারে মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে রিজিক দান করেন বলেও কুরআনে ঘোষণা দেন-
‘আমি বলেছি ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও, তিনি বড়ই ক্ষমাশীল। (তোমরা তা করলে) তিনি অজস্র ধারায় তোমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য বাগান সৃষ্টি করবেন এবং তোমাদের জন্য নদীনালা প্রবাহিত করবেন। (সূরা নূহ : ১০-১২)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘যে ব্যক্তি বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করবে আল্লাহ তাকে তার সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করবেন। সব সঙ্কট থেকে মুক্তি দেবেন এবং তাকে এমনভাবে রিজিক দিবেন, যা কোন মানুষ ধারণাও করতে পারে না।’ (মুসতাদরাকে হাকেম)

একনিষ্ঠভাবে ইবাদত করা
আল্লাহ তাআলা তার একনিষ্ঠ ইবাদতকারীর জন্য তার সব কল্যাণের দরজা খুলে দেন। দুনিয়ার সব অভাব পূরণ করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য গ্রহণ করো। আর আল্লাহ সবরকারীদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৫৩)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে বলেন-
‘আল্লাহ তাআলা বলেন, হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য (একনিষ্ঠভাবে) আত্মনিয়োগ কর; তাহলে আমি তোমার অন্তরকে অভাবমুক্ত করব, তোমার অভাবকে মোচন করব, আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার হাতকে কর্মে ব্যস্ত করব এবং তোমার অভাব মোচন করব না।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ ও হাকেম)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে অন্য বর্ণনায় এসেছে-
আল্লাহ তাআলা বলেন, হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য আত্মনিয়োগ কর আমি তোমার অন্তরকে অভাবমুক্ত করব এবং তোমার হাতকে জীবিকায় পরিপূর্ণ করে দেব। হে আদম সন্তান! আমার থেকে দূরে সরে যেও না (যদি যাও তাহলে) তোমার অন্তরকে সঙ্কীর্ণ ও দরিদ্র করে দেব, আর তোমার দু-হাতকে কর্মে ব্যস্ত করে দেব।’ (মুসতাদরাকে হাকেম)

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা
রিজিকের প্রশস্ততার অন্যতম আমল হলো আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। হাদিসে পাকে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার বয়স বৃদ্ধি করা হোক, তার জীবিকা বৃদ্ধি করা হোক এবং জঘন্য মৃত্যু থেকে সে পরিত্রাণ পাক, তাহলে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখে।’ (মুসনাদে আহমাদ)

অন্য বর্ণনায় এসেছে-
‘যে ব্যক্তি পছন্দ করে তার রিজিক অথবা তার হায়াত বৃদ্ধি হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখে। (বুখারি)

আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করা
দান সহযোগিতায়ও আল্লাহ তাআলা বান্দার সম্পদ ও রিজিক বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
হে নবি! তাদেরকে বলুন, ‘আমার রব তার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে চান মুক্ত হস্তে রিজিক দান করেন এবং যাকে চান মাপা-জোখা দেন। যা কিছু তোমরা ব্যয় করে দাও তার জায়গায় তিনি তোমাদের আরও দেন, তিনি সব রিজিকদাতার চেয়ে উত্তম রিজিকদাতা।’ (সুরা সাবা : আয়াত ৩৯)

হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘আল্লাহ তাআলা বলেন : হে আদম সন্তান! খরচ কর। আমিও তোমার উপর খরচ করব।’ (বুখারি)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘বান্দাগণ যখন সকালে উপনীত হয় তখন দুইজন ফেরেশতা অবতরণ করেন। (বান্দার জন্য) তাদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি তোমার পথে ব্যয় করে, তাকে উত্তম প্রতিদান দাও। আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণের মাল ধ্বংস কর।’ (বুখারি)

আল্লাহর পথে হিজরত করা
আল্লাহর পথে হিজরত করার মাধ্যমে বান্দার রিজিক বেড়ে যায়। মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন-
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে হিজরত করবে, সে পৃথিবীতে বহু আশ্রয়স্থল এবং প্রাচুর্য পেয়ে যাবে।’ (সুরা নেসা : আয়াত ১০০)

 হজ ও ওমরা আদায় করা
হজ ও ওমরা মানুষের অভাব ও পাপকে মুছে দেয়। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি ঘোষণা করেন-
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা হজ ও ওমরাহ পরস্পর আদায় কর, কেননা উক্ত কাজ দুইটি তেমনভাবে অভাব ও পাপকে মিটিয়ে দেয়, যেমন হাপর সোনা, চাঁদি এবং লোহার মরিচাকে মিটায়। আর কবুল হজের সওয়াব হচ্ছে একমাত্র জান্নাত। (নাসাঈ, তিরমিজি)

 বেশী বেশী কুরআন তিলাওয়াত করুন

বেশী বেশী কুরআন তিলওয়াত করার দ্বারা যেমন ‍যিকিরের কাজ হয়ে যায় তেমনি কুরআন পাঠ করার সওয়াবও পাওয়া যায়।শুধুমাত্র কুরআন মাজীদ পাঠ বা মুখস্থ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বরং এটি বুঝে পড়তে হবে। কুরআনে যা বলা হয়েছে তা করার জন্য আপনার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। আল কুরআনের প্রতিটি আয়াতের অর্থ প্রতিফলিত করতে হবে নিজের জীবনে। কুরআনের মাধ্যমে আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনের জটিলতার উত্তর পাবেন।

পরিশেষে

আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে হলে আপনাকে এখনই দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। যত বেশি আপনি আল্লাহ তা’আলাকে ভালবাসবেন , তত বেশি আপনি তাঁর নিকটবর্তী হয়ে যাবেন। আর আল্লাহ তায়ালা আপনার সমস্ত কাজে বরকত দিবেন। যত বেশি আপনি সুন্নাহ এবং কুরআন সম্পর্কে জানবেন, তত বেশি আপনি মানবজাতির উচ্চ স্তরে পৌঁছাতে পারবেন। যখন আপনি সেই উচ্চ স্তরে পৌঁছবেন, তখন আপনি আল্লাহ তা’য়ালার ভালবাসা পাবেন এবং তিনি যা কিছু দিবেন তাতেই আপনি সন্তুষ্ট থাকবেন। আপনি আপনার জীবনে যা কিছু করবেন তাতেই আত্মবিশ্বাসী থাকবেন; কারণ আপনি সম্পূর্ণ রূপে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে এমন পথে পরিচালিত করুক যা আমাদের তাঁর নিকটবর্তী করে।

সুতরাং বিপদ যত বেশি এবং যত কঠিনই হোক না কেন, তাকদিরের উপর অগাধ আস্থা এবং বিশ্বাস রেখে আল্লাহর কাছে অন্তর থেকে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। তিনিই সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান এ বিশ্বাসে তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলে কোনো বান্দার আবেদনই বিফলে যাবে না। আল্লাহ তাআলা বান্দার সব বিপদ-আপদই দূর করে দেবেন। আমীন।

লেখকঃ

এস এম ফখরুল ইসলাম নোমানী (মোরশেদ)

হেড অব ফাইন্যান্স এন্ড একাউন্টস

এপিক হেলথ কেয়ার লিমিটেড