রাউজানে শতাধিক করাত কল অবৈধ কাঠ পাচারের নিরাপদ স্থান

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ পাবত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত বন এলাকার বৃক্ষ নিধন করে রাউজান উপজেলার হলদিয়া, ডাবুয়া, চিকদাইর, নোয়াজিশপুর, গহিরা ইউনিয়ন ও ফটিকছড়ি উপজেলার ক্ষিরাম, ধর্মপুর, আবদুল্ল্রাহ পুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত সর্তা খাল দিয়ে প্রতিদিন বাশের ভেলার সাথে বেধে সেগুন, গামরী, গর্জন সহ বিভিন্ন প্রজাতির কোটি কোটি টাকার কাঠ অবৈধ ভাবে এনে রাউজানের গহিরা কালচান্দ চৌধুরী হাটের ১৬টি করাত কল, গহিরা দলই নগর এলাকা, হলদিয়া আমির হাট, ফটিকছড়ি উপজেলার আজাদী বাজার, ক্ষিরাম এলাকার করাত কল গুলোতে স্তুপ করে রাখা হয় । করাত কল গুলোতে স্তুপ করে রাখা কাঠ সাইজ করে প্রতিদিন ট্রাক ও জীপ যোগে রাউজানের বিভিন্ন এলাকা ও চট্টগ্রাম জেলা, দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হয় । এছাড়া ও রাউজানের কাল চান্দ চৌধুরী বাজারের মধ্যে থাকা শতাধিক ফার্নিসারের দোকানে ফার্নিসার তৈয়ার করে বিক্রয় করা হয় । অপর দিকে রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলার ঘাট, লাম্বুর হাট, পাচখাইন, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের উভলং, পালোয়ান পাড়া, চৌধুরী হাট, কচুখাইন এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত কর্ণফুলী নদী দিয়ে পাবত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকা থেকে সংরক্ষিত বন এলাকার বৃক্ষ নিধন করে বাশের ভেলার সাথে বেধে ও যান্ত্রিক নৌযান করে অবৈধভাবে কাঠ এনে বাগোয়ানের খেলার ঘাট, লাম্বুর হাট, চৌধুরী হাট, কচুখাইন গনিমিয়ার ঘাট এলাকার করাতকল গুলোতে স্তুপ করে রাখা হয় । করাত কলে স্তুপ করে রাখা অবৈধভাবে পাচার করা কাঠ করাতকলে সাইজ করে ট্রাক ও জীপে করে চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করা হয় । কর্ণফুলী নদী ও সর্তার খাল দিয়ে পাচার করা অবৈধ কাঠ পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে এলাকার প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের সদস্যরা । প্রতিদিন কর্ণফুলী নদী ও সর্তার খাল দিয়ে কোটি কোটি টাকার কাঠ পাচার করা হলে ও দেখার কেউ নেই । এছাড়া ও চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়ক পথে ও চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কপথে প্রতিনিয়ত ট্রাকযোগে কাঠ পাচার করছে অসাধু প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের সদস্যরা । রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় রয়েছে দেড় শতাধিক করাত কল । করাত কলগুলোর মধ্যে অধিকাংশ করাত কলের কোন লাইসেন্স নেই । হাতে গুনা কয়েকটি করাত কলের লাইসেন্স রয়েছে । এলাকার সাধারন মানুষের অভিযোগ রাউজানের গহিরা কালচান্দ চৌধুরী বাজারের মধ্যে করাতকলে অবৈধ কাঠের স্তুপ করে রাখার পর ও করাত কলের সামনে বাজারের সড়কের উপর কাঠের স্তুপ করে রাখায় সাধারন মানুষ বাজারের সড়ক দিয়ে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় । রাউজান উপজেলার সাব রেজিষ্টার অফিসের পাশে থাকা করাত কলের পাশে দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়কের উপর কাঠের স্তুপ করে রাখায় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হিমসিম খেতে হয় । রাউজান নোয়াপাড়া পথের হাট বাজারের একটি করাত কলের মধ্যে স্তুপ করে রাখা কাঠ করাত কলের সামনে দিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম কাপ্তাই মহাসড়কের পাশে রাখায় যানবাহন চলাচল ও পথচারী চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় । পাহাড়তলী চৌমুহনী বাজারের পশ্চিম পাশে চট্টগ্রাম কাপ্তাই মহাসড়কের পাশে করাত কলের স্তুপ করে রাখা কাঠের স্তুপ সড়কের উপর এনে রাখায় যানবাহন চলাচল, পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়ে আসছে । রাউজানে কয়টি করাত কল রয়েছে কয়টি করাত কলের লাইসেন্স রয়েছে এ বিষয়ে বন বিভাগের রাউজান ঢালার মুখ অফিসের ষ্টেশন অফিসার আইয়ুব আলী মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে, ষ্টেশন অফিসার অফিসার আইয়ুব আলী মন্ডল বলেন, আমি নতুন এসেছি তা খতিয়ে দেখে বলতে হবে । কয়টি করাত কল রয়েছে তা জানিনা । লকডাউনের কারনে অবৈধ করাত কল ও অবৈধ কাঠ পাচারকারীর বিরুদ্বে অভিযান করা সম্ভব হচ্ছেনা । লকডাউনের পর অভিযান পরিচালনা করা হবে।