হাফসা এগ্রো এন্ড ফলজ বাগানে হরেক রকমের ফলের সমারোহ

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের কদলপুর এলাকার বাসিন্দ্বা মোঃ শওকত উদ্দিন চৌধুরী একসময়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেয় । ছাত্রলীগ নেতা মোঃ শওকত উদ্দিন চৌধুরী গত আড়াই বৎসর পুর্বে রাউজানের কদলপুর পাহাড়ী এলাকায় ২ একর জমিতে হাটহাজারী হ্যাটিকালচার ও রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহায়তায় মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তোলেন । হাফসা এগ্রো এন্ড ফলজ বাগান নাম দেয় ছাত্রলীগ নেতা মোঃ শওকত উদ্দিন চৌধুরী । হাফসা এগ্রো এন্ড ফলজ বাগান গড়ে তোলতে মোঃ শওকত উদ্দিন চৌধুরীর ব্যয় হয় ২৬ লাখ টাকা । হাফসা এগ্রো ্ন্ড ফলজ বাগানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ৫ শত আম গাছ আম গাছের মধ্যে ঝুলছে তোকা তোকা আম । ফলজ বাগানে রয়েছে ২শত ৮৫টি ড্রাগন গাছ রয়েছে । ড্রাগন গাছে ড্রাগনের ফলন এসেছে । ফলজ গাছের বাগানে ৩শত ৫০টি মাল্টা গাছের মধ্যে মাল্টার ফলন এসেছে। ২শত লেবু গাছে লেবু ধরেছে । ২শত কলা গাছের মধ্যে কলার ফলন এসেছে । ফলজ গাছের বাগানে ফলজ বাগান ছাড়াও রয়েছে বরবটি, ঢেড়শ, ঝিঙ্গা, কাইদ্যা, বিভিন্ন প্রজাতির শাক সব্জি ক্ষেত । ফলজ গাছের বাগানের মধ্যে ডেইরী ফার্ম রয়েছে । ডেইরী ফার্মে ১৭টি উন্নত জাতের গরু লালন পালন করছে । ডেইরী ফার্মের উন্নত জাতের গাভী থেকে প্রতিদিন ৫০ লিটার গরুর দুধ উৎপাদন হয় । বাগানের মধ্যে ২শত দেশীয় মুরগী রয়েছে । এক সময়ের ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা মোঃ শওকত উদ্দিন চৌধুরী সারাদিন তার গড়ে তোলা মিশ্র ফলের বাগান পরিচযা ও ডেইরী ফার্মের গরু লালন পালন করে প্রতিদিন রাউজানের পাহাড়ী এলাকায় তার কর্মজীবন অতিবিাহিত করছেন । হাফসা এগ্রো এন্ড ফলজ বাগানের মালিক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ শওকত উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর অনুপ্রেরনায় ও নির্দেশে রাউজানের পাহাড়ী এলাকায় হাফসা এগ্রো এন্ড ফলজ বাগান গড়ে তোলেছি । হাটহাজারী হ্যাটিকালচার ও রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহায়তায় ফলজ গাছের বাগান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে বলে ছাত্রলীগ নেতা মোঃ শওকত উদ্দিন চৌধুরী জানান । ফলজ বাগানের উৎপাদিত ফল ও ডেইরী ফার্মের গরু থেকে উৎপাদিত দুধ বিক্রয় করে যে টাকা আয় হয় । ঐ টাকা থেকে বাগান ও ডেইরী ফার্মের জন্য রাখা ২জন কর্মচারীর বেতন, ফলজ বাগানের খরচ, ডেইরী ফার্মের গরু ও মুরগীর খাদ্য বাবদ ব্যয় করে যে টাকা অবশিষ্ট থাকে ঐ টাকা দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা শওকত উদ্দিনের পরিবারের ব্যয়ভার বহন করেন বলে শওকত উদ্দিন চৌধুরী জানান । শওকত উদ্দিন চৌধুরী ফলজ গাছের বাগান ও ডেইরী ফাম ব্যতিত ফলজ বাগানের পাশে রাউজানের পাহাড়ী এলাকায় ৬ একর জমিতে প্রতি বৎসর আমন ধানের চাষাবাদ করেন । শওকত উদ্দিন চৌধুরী আরো বলেন, ফলজ গাছের বাগান গড়ে তোলতে হাটহাজারী হ্যাটিকালসার থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারা প্রদান করা হয় । রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদদপ্তর থেকে সার দিয়ে পরামর্শ দিয়ে কৃষি বিভাগের তদারকিতে ফলজ গাছের বাগান ও সব্জি ক্ষেত গড়ে তোলেছি । গত ৫ জুন শনিবার কদলপুরের পাহাড়ী এলাকায় হাফসা এগ্রো এন্ড ফলজ বাগান পরিদর্শন করেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব মেজব্হা উল আলম। কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব মেজবাউল আলম হাফসা এগ্রো এন্ড ফলজ বাগান পরিদর্শন কালে আরো উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ, কষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের ফল উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মেহেদী হাসান, ফারুক আহম্মদ, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম এর ফল উৎপাদন প্রকল্পের উপ পরিচালক আকতারুজ্জমান, হাটহাহাজারী হ্যটিকালসারের পরিচালক আল মামুন সিকদার, রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার শাব্বির আহম্মদ, কৃষি তথ্য অফিসার কাউসারুল আলম, রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর রাউজান উপজেলা উদ্বিদ সংরক্ষন অফিসার কাজী আতিকুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজিব কুমার সুশীল, আহম্মদ শাহ, জুয়েল, ইসাহাক উদ্দিন ।