সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করার কথা স্বীকার করেছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল সৌদ আল মোজেব।
বৃহস্পতিবার রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ২ অক্টোবর খাশোগির শরীরে ইনজেকশন প্রয়োগের পর তাকে টুকরো টুকরো করার নির্দেশ দেন অভিযুক্ত পাঁচজন।
ওই পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন তিনি। জামাল খাশোগিকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ২১ জনকে আটক রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আটক ২১ জনের মধ্যে ১১ জনকে চিহ্নিত করে তাদের আদালতের মুখোমুখি করা হয়েছে। এছাড়া অন্য সন্দেহভাজনদের বিষয়ে অপরাধে তাদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আরও তদন্ত চালানো হচ্ছে।
এ হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান জড়িত বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হলেও অ্যাটর্নি জেনারেল দাবি করেছেন, যুবরাজ জড়িত নন।
এদিকে, তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু সাংবাদিক খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছেন।
জামাল খাশোগি গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে ঢোকার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সৌদি আরব স্বীকার করে, খাশোগিকে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত খাশোগির মৃতদেহের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সৌদি আরবও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।
সম্প্রতি খবর বেরিয়েছে, হাইড্রোফ্লুরিক অ্যাসিড দিয়ে তার মরদেহ গলিয়ে ফেলা হয়েছে।