অক্সফোর্ড ইউনিয়নের প্রথম ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আরওয়া এলরায়েস

অক্সফোর্ড ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফিলিস্তিনি নারী আরওয়া হানিন এলরাইশ। প্রথম ফিলিস্তিনি হিসেবে ব্রিটেনের অন্যতম প্রাচীন ইউনিভার্সিটি ইউনিয়ন ও বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক স্টুডেন্টস সোসাইটির সভাপতি হলেন তিনি।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ডিবেটিং সোসাইটি অক্সফোর্ড ইউনিয়ন ১৮২৩ সালে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়।

গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ইউনিয়নের গুডম্যান লাইব্রেরিতে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরওয়া হানিন এলরায়েস ৭৫৭টি ভোট পেয়ে ২০২৬ সালের ট্রিনিটি টার্মের জন্য অক্সফোর্ড ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

যা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিজা বারকোভার চেয়ে প্রায় ১৫০টি বেশি। ভোটদানের হার ছিল ১৫২৮ জন, যা গত টার্মের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এলরায়েস ও বারকোভা উভয়ই দ্বিতীয় বর্ষের পিপিই (দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি) বিষয়ের শিক্ষার্থী বর্তমানে ইউনিয়নের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে দায়িত্ব পালন করছেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে তিনটি সেমিস্টার। এগুলো মাইকেলমাস (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর), হিলারি (জানুয়ারি থেকে মার্চ) ও ট্রিনিটি (এপ্রিল থেকে জুন) টার্ম নামে পরিচিত।

নির্বাচিত হওয়ার পর স্টুডেন্ট ইউনিয়নের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে এলরায়স বলেন, ইউনিয়নের সদস্যরা আমার ও আমার দলের প্রতি ভরসা ও বিশ্বাস রেখেছেন। এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ইউনিয়নের বৃহত্তর লক্ষ্য পূরণে সবাই ভেদাভেদ ভুলে এগিয়ে এসেছেন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ২০২৬ সালের ট্রিনিটি টার্মে সোসাইটির সদস্যদের সেবা করার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।

অক্সফোর্ড ইউনিয়নের জন্য চলতি বছর সমালোচনা ও তুমুল বিতর্কপূর্ণ বছর। সম্প্রতি ইউনিয়নে পরপর দুটি অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে যথাক্রমে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জর্জ আবারানি এবং প্রেসিডেন্ট মুসা হাররাজের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনা হয়।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র, ডানপন্থি রাজনৈতিক কর্মী ও ভাষ্যকার চার্লি কার্ক আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার পর উল্লাস প্রকাশ করে সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন জর্জ।

বিষয়টি নিয়ে নিন্দা-প্রতিবাদের মুখে গত ২১ অক্টোবর জর্জ আবারানির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। ভোটে পরাজয়ের পর গত সপ্তাহে (২৪ নভেম্বর) সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান আবারানি। এরপর দায়িত্ব নেন মুসা হাররাজ। তার বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। তবে টিকে যান তিনি।