শিশু-কিশোরদের মাঝে ধর্মীয় সম্প্রতির বীজ রোপন করতে হবে

শিশু-কিশোরদের মাঝে আয়োজিত মাসব্যাপী সেমিনারে তাজিন আকতার

শিশু-কিশোর ও যুবকদের মাঝে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও মানবিক সম্প্রতির বীজ রোপন করতে পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় নেতাসহ সমাজের সকল প্রতিনিধিত্বকারীর ভূমিকা অপরিসীম। তবে সর্বোচ্চ ভূমিকা  রাখতে পারে পরিবারের সদস্যরা। কারণ শিশুরা জন্মের পর থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত পরিবারের সান্নিধ্য থাকে। তাই সম্প্রতি বান্ধব দেশ গড়তে পরিবারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এস.ই.এ এয়ার প্রজেক্ট ফেলো এবং  প্রকল্প পরিচালক তাজিন আকতার।

শিশু-কিশোরদের মাঝে সম্প্রতি বন্ধন জাগরিত করার লক্ষে ২০২১ সালের শুরু থেকে মে ৩১ মে পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অনাথ আশ্রমের শিশু, কিশোর, ধর্মীয় নেতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পৃথক পৃথক সেমিনারে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোতে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে প্রশিক্ষণমূলক এবং সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রাখতে সচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়।

তিনি বলেন, সম্প্রতির বন্ধনের এ সচেতনতার শুরু করতে হবে প্রতিটি বাড়ি থেকে, প্রতিটি দ্বারে সম্প্রীতির ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়–ক শিশু থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক, শিক্ষক থেকে নানা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতার মাধ্যমে। অনলাইনে কিছু না বুঝে ধর্মীয় উস্কানিমূলক কোনো কিছু শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অনলাইনকে অনেকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক ভিডিও, বার্তা দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের সেদিকে নজর রাখতে হবে, সচেতন থাকতে হবে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ, এখানে আমাদের সকলকে সম্প্রতির এ বন্ধন বজায় রাখতে হবে।

কক্সবাজার সদর, রামু এবং উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আয়োজিত সেমিনারে জগৎজ্যোতি শিশু সদন, পিএমখালী উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া ডিগ্রী কলেজ, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজার সরকারি কলেজ, শরণার্থী শিবির-৪ এর মাদ্রাসা তোহিত, রাজাপালং এমদাদুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

রাখাইন ডেভেলপমেন্ট ফান্ড, জগৎজ্যোতি শিশু সদন, পালস বাংলাদেশ ও  রিলিজিওন ফর পিস এ সেমিনারে সহযোগিতা করেন। সেমিনারে স্কুলের শিক্ষাথীদের সাথে বিভিন্ন আন্তঃধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা, পিস আর্ট/চিত্রাঙ্কন, সম্প্রীতির র‌্যালি ইত্যাদি কার্যক্রম করা হয়। প্রকল্পের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে “ইন্টারফেইট কাউন্সিল” নামে দুইটি গ্রুপ তৈরী করা হয় এবং যার সদস্য সংখ্যা সর্বমোট ২০ জন।