তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার পেয়েছে বিটিআরসি।
বিটিআরসির সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্লাটফর্ম বা সিবিভিএমপি প্রকল্পটি অ্যাকশন লাইন সিফাইভ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। ডব্লিউএসআইএস এর অ্যাকশন লাইন সিফাইভ ক্যাটাগরির মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘বিল্ডিং কনফিডেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ইন ইউজ অব আইসিটিস’।
মঙ্গলবার বিকেলে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন আয়োজিত ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কার গ্রহণের পর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি জানায়, তারা এ বছরই প্রথম এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে নির্দেশনা দেয়ার পর ২৫ জানুয়ারি কমিশনের সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্লাটফর্ম (সিভিএমপি ) প্রকল্পটি জমা দেয়। পরবর্তীতে ডব্লিউএসআইএস কর্তৃপক্ষ সিবিভিএমপি প্রকল্পটি অ্যাকশন লাইন সি ফাইভ ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ২০টি প্রকল্পের মধ্যে জায়গা পেয়েছে বলে ওয়েবসাইটে জানায়।
১ মার্চ শুরু হয় ভোট প্রদান পর্ব। বিটিআরসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, লিফলেট এবং তথ্যচিত্রের মাধ্যমে প্রচারণা চালানোয় সিবিভিএমপি প্রকল্পটি ১৫ হাজারের বেশি ভোট পায়। ১৯ এপ্রিল প্রাপ্তভোট ও বিচারকেদর মূল্যায়নের পর সিবিভিএমপি প্রকল্পটি অ্যাকশন লাইন সি ফাইভ ক্যাটাগরিতে শীর্ষ পাঁচ প্রকল্পের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জায়গা করে নেয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিম পারভেজ পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্লাটফর্ম বা সিবিভিএমপি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, সিবিভিএমিপি বিশ্বে একটি স্বীকৃত প্রকল্প। এটি বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মননা বয়ে এনেছে। বিটিআরসি অনেকগুলো প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে, যার সুফল গ্রাহকরা শিগগিরই পাবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের কমিশনার প্রকৈাশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ, বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হুসেইন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোঃ দেলোয়ার হোসাইন, মহাপরিচালক (স্পেকক্ট্রাম) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শহীদুল আলম, মহাপরিচালক (ইএন্ডও) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ এহসানুল কবির, মহাপরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং) আশীষ কুমার কুন্ডু, মহাপরিচালক (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) প্রকৌশলী মোঃ মেসবাহুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।