রাউজানের খবর

রাউজানের বাগোয়ানে ও পাহাড়তলীতে কৃষি জমি ভরাট করার হিড়িক রাউজান ইউনিয়নে কৃষি জমিতে মাটি ভরাট বন্ধে অভিযান
শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ সরকার ও রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর কঠোর নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়ে পাড়া, পাচঁখাইন পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি এলাকায় চলছে কৃষি জমিতে মাটি ভরাট । রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী রাউজানে কোন কৃষি জমি মাটি ভরাট করে ঘর বাড়ী ব্যবাসা প্রতিষ্টান নির্মান করতে পারবেনা নির্দেশ প্রদান করেন । সরকার ও কৃষি জমি ভরাট করে কোন স্থাপনা নির্মান করতে পারবেনা নির্দেশ প্রদান করেন । সরকার ও সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া সেমন বাড়ীর পশ্চিম পাশে মগদ্বেশ^রী মান্দিরের পাশে সড়কের পাশে বিপুল পরিমান কৃষি জমি মাটি ভরাট করেছেন কোয়েপাড়া চৌধুরীর বাড়ীর বাসিন্দ্বা প্রভাবশালী ব্যক্তি আনসার আলম চৌধুরী । কৃষি জমির মাটি ভরাট করছে পাহাড়তলী মহামুনি এলাকার মহামুনি দিঘীর খনন করা মাটি ড্রাম টাকে করে নিয়ে । এলাকার লোকজন জানান পাহাড়তলী মহামুনি দিঘীর খনন করা মাটি প্রতিদিন রাতে ড্রাম ট্রাকে করে নিয়ে গিয়ে বাগোয়ান ইউনিয়নের কেয়োপাড়া সেন বাড়ীর পশ্চিম পাশে বিপুল পরিমান আয়তনের কৃষি জমি মাটি ভরাট করা হয়েছে । কোয়ে পাড়া সড়ক দিয়ে ড্রাম ট্রাকে করে প্রতিদিন রাতে মাটি পরিবহন করায় ড্রাম ট্রাক থেকে দিঘীর খনন করা কাদাঁ মাটি পড়ে সড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে । এছাড়া ও পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি অনিরুদ্ব শিশু পার্কের বিপরিতে বিপুল পরিমান কৃষি জমি মাটি ভরাট করা হয়েছে । বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচঁখাইন নাথ পাড়া,নাথ পাড়া মন্দিরের পাশে কৃষি জমি মাটি ভরাট করে নির্মান করা হচ্ছে পাকা ঘর । এ ব্যাপারে কোয়েপাড়া এলাকার অনসারুল আলম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে, আনসারুল আলম চৌধুরী বলেন, ঐ কৃষি জমির মাটি ভরাট আমি করেনিম চট্টগ্রাম শহরের বাসিন্দ্বা কোয়েপাড়া এলাকায় বিপুল পরিনমান কৃষি জমি ও জমির পাশে পুকুর ক্রয় করে। গিয়াস উদ্দিন কৃষি জমি মাটি ভরাট করে পাকা ঘর বাড়ী নির্মান করার জন্য ভিটা তৈয়ারী করেছেন । এ ব্যাপারে বাগোয়ান ইউািনয়নের চেয়ারম্যান ভুপেশ বড়ুয়ার কাছে ফোন করে জানতে চাইলে, কৃষি জমি মাটি ভরাট করার বিষয়ে কিছুই জানেনা বলে জানান । বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচঁখাইন নাথ পাড়া এলাকায় কৃষি জমি ভরাট করে পাকা ঘর নির্মান করা প্রসঙ্গে স্থানীয় মেম্বার আবদুল খালেকের কাছে জানতে চাইলে, মেম্বার আবদুল খালেক বলেন, পাচখাইন নাথ পাড়া এলাকায় কৃষি জমি মাটি ভরাট করে পাকা ঘর নির্মান কাজ বন্দ্ব করে দেওয়ার পর ও আবারো কৃষি জমি মাটি ভরাট করে পাকাঘর নির্মান করছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, কৃষি জমি ভরাট করে কোন স্থাপনা নির্মান করা যাবেনা । কৃষি জমি ভরাট করার কাজ বন্দ্বে রাউজান উপজেলাপ প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অনেক স্থানে জরিমানা আদায় করা হয়েছে । স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্ব দিয়ে মহামুনি দিঘী খনন করা হচ্ছে । মহামুনি দিঘীর খনন করা মাটি দিয়ে দিঘির চারপাশে পাড় নির্মান ও মহামুনি দিঘীর পাড়ে সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্প ভরাট করবে । মহামুনি দিঘীর খনন করা মাটি দিয়ে দিঘীর পাড় ও আশ্রয়ন প্রকল্পের জায়গা ভরা না করে দিঘির খনন করা মাটি ড্রাম ট্রাকে করে বিক্রয় করা নিয়ম বহিভুর্ত । কৃষি জমি মাটি ভরাট করার সাথে জড়িতদের বিরুদ্বে অভিযান চালিয়ে জড়িতদের বিরুদ্বে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে । অপরদিকে রাউজান উপজেলা ৭নং রাউজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে রাউজান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমি মাটি ভরাট বন্দ্বে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে । রাউজান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমি মাটি ভরাট করে নির্মান করা সীমানা প্রাচির ভেঙ্গে ভরাট মাটি ভরাট করা জমি লোকজন দিয়ে মাটি ফেলে দিয়ে কৃষি জমিতে রুপান্তর করছেন বলে জানান চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু । রাউজান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমিতে মাটি ভরাট কাজে ব্যবহার করা ড্রাম ট্রাক চলাচল বন্দ্ব করে দিয়েছেন চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু ।

রাউজানে ১শত ১৪ অসহায় দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য শিশুখাদ্য বিতরন
রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ১শত ১৪টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের শিশুদের খাওয়ার জন্য শিশু খাদ্য বিতরন করা হয় । ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের প্রদত্ত ১ লাখ টাকা দিয়ে শিশু খাদ্য ক্রয় করে বিতরন করা হয় বলে রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার নিয়াজি মোরশেদ জানান । শিশু খাদ্যের মধ্যে রয়েছে দুধ,চিনি,সুজি, মশুর ডাল, চাউল । ১২ মে বুধবার সকালে রাউজান উপজেলা পরিষদ চত্বরে শিশু খাদ্য বিতরন করেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ। এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার নিয়াজ মোরশেদ ।
ছবির ক্যাপশনঃ রাউজানে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করছেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ

রাউজানে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন
প্রতি কেজি ২৭ টাকা দিয়ে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ । ১২ মে বুধবার সকালে রাউজান উপজেলা খাদ্য গুদামে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা প্রর্খপ বাস্তবায়ন অফিসার নিয়াজ মোরশেদ। রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, সরকার প্রতি কেজি ২৭ টাকা মুল্যে কুৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান ক্রয় করবে । রাউজানে ৩শত ৫০ রেমট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে ।