অবর্ণনীয় ভোগান্তি নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

    সরকারি বিধিনিষেধের কারণে দূরপাল্লার যান বন্ধ। তাতে কি। যেভাবেই হোক ঈদে বাড়ি ফিরতে হবে। যানবাহন প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে আজও সকাল থেকেই গ্রামের দিকে ছুটছেন ঘরমুখো হাজারো মানুষ। শত ভোগান্তির পরও ঝুঁকি নিয়ে যে যেভাবে পারছে ঢাকা ছাড়ছেন তারা। ট্রাক, মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলে করে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়ায় অবর্ণনীয় ভোগান্তি সয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। সবগুলো মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দিতে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।
    এদিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ১৪টি ফেরি চালু থাকায় যাত্রীদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি।
    গাবতলী, আমিনবাজার, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, সাইনবোর্ড এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে জড়ো হচ্ছেন। হন্যে হয়ে খুঁজছেন যানবাহন। যে যে গাড়ি পাচ্ছেন তাতেই উঠে পড়ছেন। অনেকে মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাসে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে উঠছেন। অনেকে ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলে দীর্ঘপথ পাড়ি দিচ্ছেন।
    এদিকে আজ ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির শহীদনগর থেকে পুটিয়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার তীব্র যানজট শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে যানবাহনের ঘরমুখী যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকার পর হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
    কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার সিরিয়াল গ্রামের বাসিন্দা চাকরিজীবী কাউসার আলম আজ সকাল ৯টার দিকে দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে যানজটে আটকে থেকে বলেন, স্ত্রী নিঝুম আক্তার ও ছয় মাসের মেয়ে ফাতিহাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা হন ভোর পাঁচটায়। ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে ওঠেন তাঁরা। পথে যানজটে আটকে থেকে দাউদকান্দির গৌরীপুর পর্যন্ত এক ঘণ্টার পথ পার হতে চার ঘণ্টা সময় লেগেছে। বাকি পথের ভোগান্তি মাথায় রেখেই আপনজনের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন বলে জানালেন।