‘সাহিত্য চর্চা সমাজ ও রাষ্ট্রকে আলোকিত করে’

চট্টগ্রামের কৃতিসন্তান, কবি, সাহিত্যিকঅশোকবড়–য়া স্মরণেপ্রবর্তিতচট্টগ্রামবিশ^বিদ্যালয়বাংলাবিভাগের উদ্যোগে‘সাহিত্যিকঅশোকবড়–য়া দ্বিতীয় স্মারক বক্তৃতা-২০১৯’চবিব্যবসায়প্রশাসনঅনুষদ মিলনায়তনে১৯ মার্চ ১০টায়অনুষ্ঠিতহয়। অনুষ্ঠানেপ্রধানঅতিথি হিসেবেউপস্থিত থেকে ভাষণ দেন চট্টগ্রামবিশ^বিদ্যালয়েরমাননীয়উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখারউদ্দিন চৌধুরী। এতে ‘সমাজপ্রগতিতেশিল্পসাহিত্যেরভূমিকা’শিরোনামে স্মারক বক্তৃতা প্রদানকরেনবিশিষ্টকথা-সাহিত্যিক, বাংলাদেশ শিশুএকাডেমির চেয়ারম্যানজনাব সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানেবিশেষঅতিথির বক্তব্য রাখেনচবিমাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণআখতার। চবিবাংলাবিভাগেরসভাপতিপ্রফেসর ড. মহীবুলআজিজেরসভাপতিত্বে অনুষ্ঠানেশুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেনপ্রয়াতসাহিত্যিকঅশোকবড়–য়ারসুযোগ্য পুত্রচট্টগ্রামবিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন কৃতিছাত্রমহামান্য রাষ্ট্রপতিকার্যালয়েরমাননীয়সচিবচবিসিন্ডিকেটসদস্য জনাবসম্পদ বড়ুয়া।
মাননীয়উপাচার্য তাঁরভাষণেএকজন গুণীকবি, সাহিত্যিকপ্রয়াতঅশোকবড়ৃয়ারনামেপ্রবর্তিত‘সাহিত্যিকঅশোকবড়–য়া স্মারকদ্বিতীয় বক্তৃতা’আয়োজনকরায়আয়োজকবৃন্দকে স্বাগত ও আন্তরিক শুভেচ্ছা-অভিনন্দনজানান। তিনিবলেন, সাহিত্যিকঅশোকবড়–য়া ছিলেনবীরচট্টলারএকজনখ্যাতিমান গুণীকবি ও প্রতিথযশাসাহিত্যিক। মাননীয়উপাচার্য এসাহিত্যিকের স্মৃতিরপ্রতিগভীরশ্রদ্ধানিবেদনকরেন। তিনিবলেন, শিক্ষারএমন কোনশাখা নেই যেখানেসাহিত-সংস্কৃতিরঅবাধবিচরণ নেই। সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চারফলেসমাজ ও রাষ্ট্রআলোকিতহয়এবং দেশকেএগিয়েনিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকারাখে।মাননীয়উপাচার্য আরওবলেন, শিল্প-সাহিত্য চর্চামানুষের মেধা, মনন ও প্রজ্ঞাকেশাণিতকরে। সমাজ থেকে অন্ধকার দূর করতেসাহিত্য চর্চাররয়েছেঅনন্য ভূমিকা। প্রকৃতঅর্থেসাহিত্যপ্রেমিসমাজে কোনরকমকুসংস্কার ও অন্ধকারথাকতেপারেনা। মাননীয়উপাচার্য তরুণপ্রজন্মকে পড়ালেখারপাশাপাশিসমাজপ্রগতিতেশিল্প-সাহিত্য চর্চারমাধ্যমে নিজেদেরজ্ঞানকেবিকশিতকরেসুন্দর, নির্মল,আলোকিতসমাজপ্রতিষ্ঠায়অগ্রণীভূমিকাপালনেরআহবানজানান। মাননীয়উপাচার্য আজকের স্মারক বক্তৃতারসার্বিকসাফল্য কামনাকরেন।
স্মারক বক্তা জনাব সেলিনা হোসেনতাঁরভাষণেরশুরুতেসাহিত্যিকঅশোকবড়–য়ার স্মৃতিরপ্রতিগভীরশ্রদ্ধানিবেদনকরেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেরলীলাভূমিপাহাড়ঘেরাচট্টগ্রামবিশ^বিদ্যালয়েরঅতিপ্রাচীনতমবিভাগবাংলাবিভাগের উদ্যোগে এ প্রতিথযশাসাহিত্যিকপ্রয়াতঅশোকবড়–য়ারদ্বিতীয় স্মারক বক্তৃতাঅনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা হিসেবেউপস্থিত হতে পেরেনিজেকে গৌরবান্বিতমনেকরেন। তিনিবলেন,সাহিত্যেরবিভিন্নশাখায়অশোকবড়–য়ারছিলঅবাধবিচরণ। বিচিত্রঅভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হওয়ারকারণেতাঁররচনায় যুক্ত হয়েছেগভীরজীবনবোধ, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি, বিষয়ের বৈচিত্রএবংসর্বোপরিঅনন্য স্বাতন্ত্র্যবোধ।তিনিআরওবলেন, শিল্প-সাহিত্য মানুষের চেতনাগতবিন্যাসকেধারণকরেবলেইশিল্প-সাহিত্য মানবসভ্যতার স্থায়ীসম্পদ। এ সম্পদকে প্রজন্মেরমাঝেসঞ্চারিতকরারজন্য তিনিশিক্ষক-গবেষকদেরআহবানজানান।
অনুষ্ঠানেচবিসিন্ডিকেটসদস্যবৃন্দ,বিভিন্নঅনুষদের ডিনবৃন্দ,শিক্ষকসমিতির নেতৃবৃন্দ,বিভাগীয়সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষক-গবেষকবৃন্দ, অতিথিবৃন্দ এবংবিপুলসংখ্যকশিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। স্মারক বক্তা জনাব সেলিনা হোসেনেরজীবনীপাঠকরেনচবিবাংলাবিভাগেরসহযোগীঅধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখসাদী। অনুষ্ঠান উপস্থাপনাকরেনবাংলাবিভাগেরএমএশিক্ষার্থী উমেসিংমারমা।