সুনামগঞ্জে হিন্দুদের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি

সুনামগঞ্জে হিন্দুদের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ হেফাজতের জঙ্গী সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, চট্টগ্রাম জেলা।
সংগঠনের উদ্যোগে ১৮ মার্চ বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্কালে হেফাজত নেতারা বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করার পাশাপাশি সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে তারা আবারও প্রমাণ করেছে তাদের শীর্ষ নেতারা ’৭১-এ যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগিতা করতে গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ করেছিলো এবং বিভিন্ন ঘাতক বাহিনী গঠন করে ইসলামের নামে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিলো, এখনও তারা একই অবস্থানে রয়েছে। মামুনুল হক ও বাবুনগরীসহ হেফাজতে ইসলামের মৌলবাদী সন্ত্রাসী নেতাকর্মীরা ২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলে কী ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালিয়েছিলেন তা আমরা ভুলে যাইনি। এখনও তারা ওয়াজের নামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ভিন্নধর্ম ও ভিন্নমতের অনুসারীসহ নির্মূল কমিটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে চরম উষ্কানি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করে ধর্মের নামে যেভাবে মানুষকে উত্তেজিত করে দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে এর জন্য তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কয়েক ডজন মামলা করা যায়।
বক্তারা আরো বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংবিধানবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সন্ত্রাসী বক্তব্যের জন্য হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে হেফাজতের সমালোচনাকারীদের যেভাবে গ্রেফতার করছে তা ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের মূল্যে অর্জিত ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে কখনও মেনে নেয়া যায় না।
‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলাম ও তাদের সহযোগীদের নিন্দনীয় অবস্থান এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদানের প্রেক্ষিতে এসব দলের সকল সমাবেশ অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার জন্য বক্তারা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানায়। একই সঙ্গে সুনামগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং ভুক্তভোগীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি দীপংকর চৌধুরী কাজলের সভাপতিত্বে এবং কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক অলিদ চৌধুরী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মো. সায়েমের যৌথ সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ চৌধুরী ভাস্কর, এ.কে.এম জাবেদুল আলম সুমন, আবদুল মান্নান শিমুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিথুন মল্লিক, মো. সাহাব উদ্দিন, অসিত বরণ বিশ^াস, প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক সনেট চক্রবর্ত্তী, সহ-প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক রুবেল চৌধুরী, সহ-প্রকাশনা সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদিন, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত নবী খোকা, সহ-আইন সম্পাদক এড. রক্তিম বিশ^াস, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক রুবেল আহমেদ বাবু, সাংবাদিক আহমেদ কুতুব, কার্যনির্বাহী সদস্য আখতার হোসেন, নাছিমা আকতার, মুক্তা জামান, কানিজ ফাতেমা লিমা, দিপু বড়ুয়া, রুবেল কুমার শীল, বায়োজিদ থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব সোহেল, জামশেদুল ইসলাম চৌধুরী, ইসমাইল চৌধুরী, আরাফাত মইনউদ্দিন প্রমুখ।