চবি আইকিউএসির উদ্যোগে গবেষণায় এসপিএসএস ও স্ট্যাটার ব্যবহার বিষয়ে কর্মশালা সম্পন্ন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ এবং আইন অনুষদভূক্ত শিক্ষকদের জন্য স্ট্যাটেস্টিকেল টুলস (এসপিএসএস ও স্ট্যাটা) ফর সোসাল সায়েন্স বিষয়ে টানা ৩ দিনব্যাপী (১১-১৩ মার্চ ২০২৫) এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকাল ৩ টায় প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউ এসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে স্ট্যাটেস্টিকেল টুলস (এসপিএসএস ও স্ট্যাটা) ফর সোসাল সায়েন্স এর উপর ট্রেনিং প্রদান করেন চবি পরিসংখান বিভাগের অধ্যাপক রুকুনুজ্জামান আজাদ, অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন ও অধ্যাপক ড. সেলিম জাহাঙ্গীর। অনুষ্ঠানে চবি আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. শাহাদাত হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য তার বক্তব্যে শিক্ষকদের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। তিনি বলেন, নিজেদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইকিউএসির মাধ্যমে যে সমস্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা প্রদান করা হয় তা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মজীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চবি আইকিউএসির উদ্যোগে এ ধরনের কর্মশালা আয়োজনের জন্য উপাচার্য অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নবীন শিক্ষকরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, তারা এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। একসময় এ ধরনের কোন প্রশিক্ষণের সুযোগ ছিল না।

তিনি আরও বলেন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় পরিসংখ্যানে পারদর্শিতার বিকল্প নেই। উপাচার্য ট্রেনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান নিজেদের ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। তিনি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সকলকে অভিনন্দন জানান।

পরে উপাচার্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদভুক্ত ৩৪ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।