চলে গেলেন কবি ও শিল্পী খালিদ আহসান

কবি ও শিল্পী খালিদ আহসান আর নেই। আজ ২২ মার্চ সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।

মাসখানেক ধরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। প্রথমে তাঁকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হলেও পরে তাঁর অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হলে ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে  স্ত্রী, এক কন্যা ও জামাতা এবং অসংখ্যা বন্ধু-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে যান। খালিদ আহসান  ছিলেন সত্তর দশকের তুখোড় কবি ও গীতিকার।

খালিদ আহসানের মরদেহ আজ সোমবার রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছাবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি ব্লক জামে মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ মার্চ দুপুর ১২টায় শ্রদ্ধা জানানোর জন্য খালিদ আহসানের মরদেহ চেরাগী পাহাড় মোড়ে রাখা হবে। এরপর বাদ জোহর কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে কদম মোবারক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

তিনি দেশের প্রথম সারির একজন প্রচ্ছদ শিল্পী। স্বাধীনতার পরে অধিকাংশ প্রধান লেখকের বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন তিনি। খালিদ আহসান ১৯৫৭ সালের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা  মো. মোবিনুল হক ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। মা মোহসেনা বেগম।

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ : শীতের কফিন থেকে উৎসারিত মানিপ্ল্যান্ট (২০০১), মন্দলোক ও কাঠের ঘোড়া (২০০৪), তোমাকে পানকৌড়িকে (২০০৮) ও এনেসথেসিয়া (২০১০), পৃথিবীর শিরা-উপশিরা (২০১২), কলম লিখেছে কবিতা আমি তার প্রথম শ্রোতা (২০১৪), বর্ণ, চক্ষু, অন্তঃকরণ (২০১৪), ঝিঁঝিঁর কনসার্ট (২০১৯)। তাঁর সম্পাদিত ছোট কাগজ : চোখ (১৯৭৮), বুলেট (১৯৭২)।

প্রথিতযশা এই কবির প্রয়াণে গভীর শোক জানিয়েছেন কবি আবুল মোমেন, অধ্যাপক মাইনুল হাসান চৌধুরী, ওমর কায়সার, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, কামরুল হাসান বাদল, রাশেদ রউফ, এজাজ মাহমুদ, এজাজ ইউসুফী, জিন্নাহ চৌধুরী ও কবি মনিরুল মনির।