নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে জনসম্পৃক্ততায় সফলতা প্রাপ্তির পূর্বশর্ত

চসিকে’র ক্রাশ প্রোগ্রাম চলমান
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মশক ও জঞ্জাল মুক্ত সর্বসাধারণের বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের প্রচেষ্টা ও কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রত্যেক নগরবাসীর সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ। স-স ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণের মাধ্যমে এলাকাবাসী চসিকের প্যাচ ওয়ার্ক, মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সংযুক্ত হলে তার সুফল ষোল আনা নিশ্চিত হবে। মনে রাখতে হবে এই নগর মেয়রের একার নয়, তিনি সকলের সেবক মাত্র। তাই সকলের চাহিদা পূরণে ও নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে জনসম্পৃক্ততা সফলতা প্রাপ্তির পূর্বশর্ত। সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ঘোষিত ১০০ দিনের অগ্রাধীকার কর্মসূচির আলোকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা ও মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসের ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে। আজ শনিবার নগরীর সৈয়দ শাহ্ রোড, কে বি আবদুস ছাত্তার রোড আল-ফালাহ গলিতে প্যাচ ওয়ার্ক ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা নিজেরাই পরিত্যাক্ত প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিনের ব্যাগ ও গৃহস্থলীর বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে বা ডাস্টবিনে না ফেলে রাস্তাঘাট ও নালা-নর্দমায় ফেলি তা হলে শহর তো নোংরা হবেই। এসব ময়লা আবর্জনার কারণে খাল নালা নর্দমায় পানি চলাচল ব্যাহত হয়। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং মশার উপদ্রব বাড়ে। মেয়র নগরবাসীর উদ্দেশ্যে আরো বলেন, শহর পরিস্কার রাখা জনপ্রতিনিধি হিেেসব আমার ও আমার পরিষদের একার দায়িত্ব নয়। এ ব্যাপারে নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।
প্যাচ ওয়ার্ক তদারক করেন চসিক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, আবু সিদ্দিক, তৌহিদুর রহামন এবং মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারক করেন অতি. প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।