ক্যাব’র তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধে ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব) চট্টগ্রাম মহানগরীর ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ড কমিটির তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধে করনীয় নিয়ে ওরিয়েন্টেশন ০৬ মার্চ ২০১৯ইং ৫৩নং কমিউনিট পুুলিশ বিট অফিসে ক্যাব ৮ নং নং শুলকবহর ওয়ার্ড কমিটির আহবায়ক ও ৫৩ কমিউনিটি বিট পুলিশের সভাপতি জসিমুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস’র সহায়তায় পিপলস জুবিল্যান্ট এনগেজমেন্ট ফর টোবাকো ফ্রি চিটাগাং সিটি প্রকল্প, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের আয়োজনে ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। ক্যাব ডিপিও জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টেশনে আলোচনায় অংশনেন ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি জানে আলম, পাঁচলাইশ থানার সাধারন সম্পাদক মাহমুদ রেজা সুজা, সমাজ সেবক হাজী শাহ আলম, তরুন সমাজকর্মী ও সংগঠক রাশেদুল আনোয়ার খান, সারওয়ার কামাল, জিয়াউল ইসলাম রিপন, এম কায়সার খান প্রমুখ।

বক্তাগন বলেন তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণে আইনের ৫নং ধারায় বলা আছে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই ধারার বিধান লংঘন করলে অনুর্ধ ৩ মাস কারাদন্ড বা অনধিক ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন। কিন্তু দেশের কোথাও এই আইনের প্র্রয়োগের ঘটনা তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। ধুমপানের প্রচারণা, পৃষ্ঠপোষকতা ও বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে আইন, বিধি নিষেধ থাকলেও নগরজুড়ে ধুমপানের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা এমনকি প্রশাসন, আদালত, হাসপাতাল, ক্লিনিক, নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও ধুমপানের বিজ্ঞাপন ও বিক্রি মুক্ত নয়। চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশন ক্লিন ও গ্রীন সিটিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিলেও যত্রতত্র ময়লার স্তুপ, আবর্জনা, রাস্তায় ধুলাবালি, নালা-নর্দমায় ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি, মানুষ ঘর থেকে ময়লাগুলি ডাস্টবিনে না ফেলে নালা-নর্দমায় ফেলছে। তাই তামকমুক্ত, ক্লিন ও গ্রীন সিটি ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি তরুন প্রজন্মকে এই মারাত্মক সামাজি ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখার জন্য ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্ঠির আহবান জানান।

ওরিয়েন্টেশনে আরও বলা সরকার মাদক-ইয়াবার বিরুদ্ধে শুণ্য সহনশীলতা দেখালেও চাহিদা থাকায় মাদকের ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না। আর ধুমপান হলো মাদক সেবন শুরুর প্রথম সোপান। সেকারনে জনবহুল স্থান বিশেষ করে হাসপাতাল, আদালত প্রাঙ্গন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাস-ট্রেন স্টেশনে ধুমপান ও বিজ্ঞাপন এবং প্রচারণা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজ থেকে এই মারাত্মক ব্যাধি নির্মূল করার দাবি জানানো হয়। বিজ্ঞাপন, বিক্রি ও প্রচারণা নিষিদ্ধ হলেও প্রকাশ্যে বিড়ি-সিপারেট, পান জর্দা বিক্রি ঠেকানো যাচ্ছে না। নতুন নতুন ধুমপায়ী সৃষ্ঠি করতে তামাক কোম্পানী গুলি নানা কৌশলে উপঠৌকন ও প্রণোদনা দিয়ে তরুনদের আকৃষ্ঠ করছে। তাই তামাক সেবনের অপকারিতা বিষয়ে তরুন সমাজ ও সাধারন জনগনের মাঝে সচেতনতা সৃষ্ঠিতে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগসহ সামাজিক শক্তিগুলির উদ্যোগ ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।