এরকম চ্যালেঞ্জের মুখে আগে কখনো পড়েননি ক্লপ!

ম্যাচের আগে অ্যাস্টন ভিলার ১৪ জন ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত হলেন। শঙ্কা দেখা দিল ম্যাচ আয়োজন নিয়েও। তবে একাডেমীর খেলোয়াড়দের নিয়ে লিভারপুলের বিপক্ষে একাদশ সাজায় ভিলা। যাদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৭ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। এমনকি ভিলার ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ মার্ক ডিলানি। শুক্রবার রাতে অ্যাস্টন ভিলাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে চতুর্থ রাউন্ডে উঠেছে লিভারপুল। যাদের বিপক্ষে লীগে ৭-২ গোলে হেরেছিল অলরেডরা। ভিলা পার্কে স্বাগতিক তরুণরা দারুণ লড়াই করেছে।
হঠাৎই সব কিছু বদলে যাওয়ায় কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল লিভারপুলও। কঁচিকাঁচাদের উদ্দীপ্ত পারফরমেন্সে চমকে গেছেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপও। হঠাৎই অপরিচিত একটা দলের বিপক্ষে খেলতে নামার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, এমন ঘটনার মুখোমুখি আগে কখনই হননি তিনি।

এফএ কাপ এবং লীগ কাপে প্রায় সব বড় দলই তরুণদের সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে নিরুপায় হয়েই পুরো দলটাই অ্যাস্টন ভিলাকে সাজাতে হয়েছিল তরুণদের নিয়ে। ম্যাচের শুরুতেই লিড নেয় লিভারপুল। চতুর্থ মিনিটে গোল করেন সাদিও মানে। ৪১তম মিনিটে ১৭ বছর বয়সী স্ট্রাইকার লুই ব্যারির গোলে সমতা ফেরায় ভিলা। বিরতির পর পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে টানা ৩ গোল করে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয় লিভারপুল। ৬০তম মিনিটে গোল করেন জর্জিনিও ভাইনালডম। সাদিও মানে জোড়া গোল পূরণ করেন ৬৩ মিনিটে। এর দুই মিনিট পর দলের চতুর্থ গোল আসে মোহাম্মদ সালাহ’র পা থেকে।

গোলপোস্টের নীচে আলো ছড়িয়েছেন ভিলার ১৯ বছর বয়সী গোলরক্ষক আকোস অনোডি। ম্যাচে আটটি সেভ করেছেন তিনি। ভিলার তরুণদের দারুণ পারফরমেন্সের প্রশংসা ঝরেছে লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের কন্ঠে। তিনি বলেন, ‘তাদের তরুণরা সত্যিই দুর্দান্ত। এখনকার ফুটবল এটাই। একাডেমী থেকে উঠে আসা খেলোয়াড়রা দারুণ প্রতিভাবান হয়। ম্যাচের আগে আমি তাদের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। এরকম অভিজ্ঞতা আমার আগে কখনো হয়নি। এটা তো ফুটবলীয় সমস্যা। ফুটবল খেলেই আমরা এটার সমাধান করেছি। দ্বিতীয়ার্ধে সেটারই প্রতিফলন ঘটেছে। তবে ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ায় কিছুটা সহজ হয়েছে সবকিছু।’