‘এস ২০ প্লাস’, ‘মেট ৪০ প্রো’ নাকি ‘আইফোন ১২ প্রো’ ক্যামেরায় কার কতো জোর?

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২০ প্লাস, হুয়াওয়ে মেট ৪০ প্রো এবং ‘আইফোন ১২ প্রো’, এই তিনটি মডেল ২০২০-এ বাজারে আসা স্মার্টফােনগুলাের মধ্যে আলােচনায় ছিলাে সবচেয়ে বেশী।

তিন ব্র্যান্ডের সেরা এই তিন ফােনের ক্যামেরায় কার কতো জোর, তা জানতে পরীক্ষা চালিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ‘অ্যান্ড্রয়েড অথোরিটি’। একই বিষয়বস্তুর ছবি তিন ফােনের ক্যামেরায় ধারণ করে মান যাচাই করেছে তারা।

লো লাইট নাইট মোড

দিনের বেলা সাধারণ মানের স্মার্টফোন দিয়েও ঝকঝকে ছবি তোলা যায়। রাতের বেলা কেমন ছবি ওঠে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। অল্প আলোতে ছবি তোলার জন্য নাইট মোড ফিচার আছে। পরীক্ষা চালানোর সময় প্রতিটি ফোনের নাইট মোড ফিচার অন করে এবং অফ রেখে ছবি তোলা হয়। ফলাফলে দেখা গেছে, ফিচারটির উপর ক্যামেরার পারফর্মেন্স অনেকাংশে নির্ভরশীল।

গ্যালাক্সি এস ২০ প্লাস

নাইট মোডে অসাধারণ ক্যামেরা পারফর্মেন্স দেখিয়েছে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস ২০ প্লাস।

হুয়াওয়ে মেট ৪০ প্রো

হুয়াওয়ে মেট ৪০ প্রোতে কম আলোতেও ভালো ছবি তোলা যায়। এর জন্য নাইট মোডের খুব বেশি প্রয়োজন নেই।

আইফোন ১২ প্রো

কালার ও ডিটেইলিং ভালো আসলেও তাতে নয়েজ থাকছে। তাই প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ফোনের চেয়ে এক্ষেত্রে অ্যাপল সামান্য পিছিয়ে রয়েছে।

বুকেহ পোর্টট্রেট

ব্যাকগ্রাউন্ড কতোটা ব্লার হয় এবং ফোকাসে থাকা বিষয়বস্তু কতোটা ঝকঝকে আসে তা দেখেই এ ক্যাটেগরির ফলাফল জানানো হয়েছে। একটি ভালো পোর্টট্রেট ছবির ফোকাসে থাকা প্রতিটি অংশের ডিটেইলস স্পষ্ট হতে হবে। বিষয়বস্তু ও ব্যাকগ্রাউন্ডের মধ্যে অবশ্যই তফাৎ থাকতে হবে। এড ডিটেকশন দুর্বল হলে ছবির মানও খারাপ হবে।

আইফোন ১২ প্রো

ব্যাকগ্রাউন্ড একদম পুরোপুরি ব্লার করার ক্ষমতা আছে ফোনটির। ফোরগ্রাউন্ডের ডিটেইলসও এতে স্পষ্ট। ইনডোর বা আউটডোর ভেদে ছবির মানের তেমন পাথর্ক্য নেই।

গ্যালাক্সি এস ২০ প্লাস

এজ ডিটেকশন নিখুঁত নয়। আউটডোরের ছবির কোয়ালিটি ভালো।

হুয়াওয়ে মেট ৪০ প্রো

 এজ ডিটেকশনে দুর্বলতা থাকলেও স্কিন টোন ভালো। ইনডোরেও ছবি ঝকঝকে আসে।

ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স

এখনকার বেশিরভাগ ফোনেই ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স আছে। কোন লেন্স কতো জায়গাজুড়ে ছবি তুলবে, ডিটেইলস, রঙের পরিবর্তন হবে কিনা তার উপরে ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ছবির মান নির্ভর করে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২০ প্লাস

ওয়াইড ফিল্ড অব ভিউ থাকলেও রঙের পরিবর্তন বেশি ঘটেছে।

হুয়াওয়ে মেট ৪০ প্রো

ডিটেইলসসহ ছবি এতে ভালো আসে। তবে রঙের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।

আইফোন ১২ প্রো

ফিল্ড অব ভিউ অনেক ওয়াইড। তবে ধারগুলো শার্প নয়। ছবি রঙের কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।

এইচডিআর

ক্যামেরার প্রসেসিং সক্ষমতা ধরা পরে এইচডিআর ফিচারে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২০ প্লাস

 এইচডিআর প্রযুক্তি বেশ শক্তিশালী। তবে কনট্রাস্ট ও স্যাচুরেশন অনেক বেশি।

আইফোন ১২ প্রো

শ্যাডো ও হাইলাইটে ব্যালেন্স কম তবে ছবি উজ্জ্বল আসে।

হুয়াওয়ে মেট ৪০ প্রো

রঙের পরিবর্তন চোখে লাগার মতো নয়।

কালার ব্যালেন্স অ্যান্ড এক্সপোজার

এক ভালো ছিবর প্রথম শর্তই কালার, এক্সপোজার ও হোয়াইট ব্যালেন্সের পারফেক্ট সমন্বয়। দিনের আলো এগুলোর তারতম্য তেমন ধরা যায় না। ইনডোরে ভালো ছবি তোলার ক্ষেত্রে তিনটি ফিচারেরই বেশ গুরুত্ব রয়েছে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২০ প্লাস

হোয়াইট ব্যালেন্সে কোনো সমস্যা নেই, তবে ওভারস্যাচুরেটেড কালার ও শ্যাডো কনট্রাস্টের কারণে ছবি অনেক সময় অন্ধকার আসে।

আইফোন ১২ প্রো

ইনডোর ছবিতে ব্রাইট এক্সপোজার ও কালার ব্যালেন্স ঠিকঠাক।

হুয়াওয়ে মেট ৪০ প্রো

এক্সপোজার ঠিক থাকলেও কালার ও হোয়াইট ব্যালেন্সের প্রভাব অনেক বেশি।