স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে স্কুল থেকে বই নিতে হবে

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে এবার বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে স্কুল থেকে বই নিতে হবে। এবার একেক দিন একেক ক্লাসের শিক্ষার্থীদের হাতে প্যাকেটজাত বই তুলে দেয়া হবে। সেইসঙ্গে জমা নেয়া হবে পুরাতন বই।

৯ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ১৭ই মার্চ থেকে কয়েক ধাপে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হওয়ায় চলতি বছরের সিলেবাস অসমাপ্ত রেখেই পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত হয়েছে শিক্ষার্থীরা।

আগের বছরের কিছু বিষয় নতুন সিলেবাসে যুক্ত করা হবে। তাই নতুন পাঠ্যবই নেয়ার সময় আগের বছরের পুরনো বই বিদ্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ না হওয়ায় আগামী বছরের সিলেবাসের সঙ্গে তা রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন বছরের তিন থেকে চার মাস আলাদাভাবে বা নতুন বছরের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে পুরনো বইয়ের কিছু অধ্যায় যুক্ত করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ না করে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হলেও আগের সিলেবাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় পড়ানো হবে।
আগের বছরের বাদ পড়া বিষয়ে যুক্ত করে আগামী বছরের নতুন সিলেবাস তৈরি করতে এনসিটিবিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আগামী ৩১শে ডিসেম্বর ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বছরের পাঠ্যবইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন। এ জন্য শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বই মোড়ক উন্মোচনের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এরপর পাঠ্যবই বিতরণের ঘোষণা হলে শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নতুন বই সংগ্রহ করতে হবে।

জানা যায়, এবার ক্লাস ও রোল অনুযায়ী নতুন বই প্যাকেটজাত করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ভিন্ন ভিন্ন দিনে ক্লাস ও রোল অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে শিডিউল দেয়া থাকবে।

উল্লেখ্য, বিতরণের জন্য এ বছর প্রায় ৩৫ কোটি বই মুদ্রণ করছে সরকার। এর মধ্যে মাধ্যমিকের বই প্রায় ২৪ কোটি ৩৪ লাখ। বাকিটা প্রাথমিক স্তরের। ১লা জানুয়ারির আগে মাধ্যমিক স্তরের সব বই না পৌঁছলেও প্রাথমিক স্তরের সব বই পৌঁছে যাবে স্কুলে স্কুলে।