বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন হতে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের লক্ষ্য ১৫৬ রান। আসরে ১০ ম্যাচে ৮ জয় পাওয়া তরুণ দলটির জন্য কঠিন ছিল না। কিন্তু ফাইনালে দুর্দান্ত খুলনার কাছে তারা হেরে যায় ৫ রানে। এই জয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি প্রথম শিরোপার মুকুট পরে দেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জেমকন খুলনা। এর আগে জবাব দিতে নেমে চট্টগ্রামের দুই সেরা ওপেনার সৌম্য সরকার ১২ ও লিটন দাস ২৩ রানে বিদায় নেন। এরই মধ্যে দলের হাল ধরতে এসে দলকে বিপদে রেখে ৭ রান করে আল আমিনের শিকার হন মিঠুন। ৫১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শিরোটা স্বপ্ন কঠিন হয় চট্টগ্রামের। সেখান থেকে দারুণভাবে দলকে ম্যাচে ফেরান শামসুর রহমান শুভ ও সৈকত আলী।
কিন্তু অভিজ্ঞ শুভ ২১ বলে ২৩ রান করে আউট হলে আবারো বিপদে পড়ে দল। তবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে দলের স্বপ্ন বাঁচাতে লড়াই করে যান সৈকত আলী। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪১ বলে আসরে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন। ১২ বলে যখন ২৯ রান প্রয়োজন তখন বোলিংয়ে আসেন তরুণ হাসান মাহমুদ। তার ওভারে ছয় হাঁকিয়ে মোসাদ্দেক ম্যাচে উত্তেজনা এনে দেন। শেষ ওভারে যখন ১৬ রান প্রয়োজন অধিনায়ক বল তুলে দেন পেসার শহীদুল ইসলামের হাতে। প্রথম দুই বলে ৩ রান দিলেও পরের দুই বলে বিদায় করেন দুই সৈকতকে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও নাদিফ চৌধুরী তা থামিয়ে দেন। শেষ বলে তিনি ৬ হাঁকালেও হার এড়াতে পারেনি চট্টগ্রাম। দলটি হাতে ৪ উইকেট রেখেও থেমে যায় ১৫০ রানে। শেষ ওভারে দলকে বল হাতে জয় এনে দেন পেসার শহীদুল ইসলাম। ৪৩ রানে দলের ৩ উকেটের পতন। সেখান থেকে আরিফুল জাকির জুটিতে খুলনা কিছুটা এগিয়ে ছিল। কিন্তু দলের ৮৩ রানের সময় দু’জনই আউট হন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফাইনালে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে জেমকন খুলনার শুরুটা মোটেও সন্তোষজনক হয়নি। আর সেই মুহূর্তে দলের হাল ধরতে এলেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। যার ব্যাট থেকে গোটা আসরে একটি ফিফটি ইনিংসও আসেনি। কিন্তু ফাইনালে দলকে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখালেন তিনি। ব্যাট হাতে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ২ ছয় ও ৮ চারে ৪৮ বলে খেললেন ৭০ রানের এক ঝড়ো ইনিংস। নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়লেন। তখন খুলনার স্কোর বোর্ডে জমা পড়েছে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান। টি-টোয়েন্টিতে তার আগের সর্বোচ্চ ছিল অপরাজিত ৬৪।
চট্টগ্রামের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো ওপেনার জহিরুল আউট হন শূন্য রানে। এরপর দলের সিনিয়র ইমরুল কায়েসের অবদান মাত্র ৮ রান। তাকে বিদায় করে নাহিদুল তুলে নেন তার দ্বিতীয় উইকেট। তখন একপাশ আগলে রেখেছেন খুলনার তরুণ ওপেনার জাকির হাসান। সাকিব আল হাসান না থাকায় ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পান আরিফুল হক। জাকির হাসানের সঙ্গে তার জুটি খানিকটা এগিয়ে নেয় খুলনাকে। তবে দু’জনই বিদায় নেন দলকে বিপদে ফেলে। ১৩ রানে জীবন পেয়ে জাকির করেন ২০ বলে ২৫। মোসাদ্দেক হোসেনের বাজে এক বল তিনি আরো বাজে শটে তুলে দেন মিড উইকেট ফিল্ডারের হাতে। আরিফুলের ২১ রান আসে ২৩ বলে।