কুতুবদিয়া চ্যানেল পারাপারে যাত্রীরা চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে

লিটন কুতুবী, কুতুবদিয়া:
কুতুবদিয়া চ্যানেল পারাপার ঘাটে যাত্রীদের উপছে পড়া ভিড়ের দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। বিগত কয়েক বছর ধরে কুতুবদিয়া চ্যানেল পারাপারে যাত্রীরা চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট মুহাম্মদ আইয়ুব হোছাইন জানান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এক বছরের জন্য পারাপারে যাত্রী বহন করার জন্য এক শ্রেণীর পেশাদার ব্যক্তিগণ ঘাট ইজারা নিয়ে থাকেন। কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের চুক্তিপত্রের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিঘন্টা পর অর্থাৎ সকাল ৭টায় কুতুবদিয়া দ্বীপ থেকে মগনামার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। ঐ দিন রাত ৯টায় মগনামা থেকে কুতুবদিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে রওনা করে। দৈনিক ১৪ ঘন্টায় ১৪ বার দুই দিক থেকে যাত্রী পারাপার করে থাকে। জনপ্রতি যাত্রীর থেকে ভাড়া আদায় করে ২০টাকা।
যাত্রী সাহাব উদ্দিন জানান, বিগত দুই বছর ধরে কুতুবদিয়া দ্বীপের দরবার ঘাট হতে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট আর কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ হতে পেকুয়ার মগনামা ঘাট পারাপারে এতই যাত্রী বৃদ্ধি পেয়েছে তা সামাল দিতে গিয়ে ঘাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ আধা ঘন্টা পর রির্জাভ সার্ভিস চালু করে জনপ্রতি ৪০ টাকা ভাড়া আদায় করছে। এ ফাঁেক ভিআইপি সার্ভিস স্প্রীট বোটের কোন ধরণের নিয়মনীতি নেই। স্প্রীট বোটে জনপ্রতি বড়ঘোপ টু মগনামা ৭০ টাকা ভাড়া আদায় করে। কিন্তু দরবার ঘাট টু মগনামা ঘাট স্প্রীট বোট ভাড়া আদায় করে ৮০ টাকা। আবার স্প্রীট বোট সার্ভিস উপজেলা পর্যায়ের বেশীর ভাগ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ফি সার্ভিস ভোগ করে থাকেন। যার ফলে পারাপার ঘাটে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ অনিয়ম করলেও প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার পাচ্ছে না যাত্রীরা। যাত্রী পারাপারে বৈষম্য দেখে কুতুবদিয়া দ্বীপে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বিচলিত হয়ে পড়ে।
কুতুব শরীফ দরবারে মিডিয়া সেলের এ এইচ এম এহছান জানান, গত ১৭ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারী ৫দিন মগনামা ঘাটে আর দরবার ও বড়ঘোপ স্টীমার ঘাট দিয়ে কুতুব শরীফ দরবারের বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে কয়েক লক্ষ মানুষের আগমন ঘটে।
ঐ সময়ে কুতুব শরীফ দরবারের বার্ষিক ওরশ শরীফে আগত মানুষের থেকে ২০টাকা ভাড়ার স্থলে ৩০/৪০টাকা আদায় করেছে বলে বাশঁখালী উপজেলা থেকে আসা শাসসুল আলম অভিযোগ করেন।
তিনি আরো জানান, ড্যানিস বোটের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৪গুণ যাত্রী নিয়ে পারাপার করেছে। এ ছাড়াও কুতুবদিয়া দ্বীপের বায়ু বিদ্যুৎ, বিস্তৃর্ণ সমুদ্র সৈকত, জীববৈচিত্র সৃষ্ট পাথরের নিদর্শন দেখার প্রতিদিন শত শত পর্যটকের আগমণ ঘটে। প্রতি শুক্রবার কুতুব শরীফ দরবারে ভক্তরা মাজার জিয়ারত করার উদ্দেশ্যে আগমনের সময়ও পারাপারে দূর্ভোগ পোহাতে হয় চরমভাবে।
এ ব্যাপারে গত ১৪ জানুয়ারী কুতুবদিয়া উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভার উপদেষ্টা কুতুবদিয়া মহেশখালী আসনের সাংসদ আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিকের উপস্থিতিতে কুতুবদিয়া চ্যানেলে যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং রির্জাভ সার্ভিসে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের বিষয়টি জুরালোভাবে অভিযোগ উঠে। তা আগামী ঘাট ইজারার সময় জেলা প্রশাসক বরাবরে বিষয়টি উপস্থান করা হবে বলে এমপি আশ্বস্থ করেন। একই সাথে ইউএনও দীপক কুমার রায় বিষয়টি দেখবাল করবেন বলে সভায় অবহিত করেন।