পাহাড় কাটার দায়ে কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালামসহ পাঁচ ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা (ক্ষতিপূরণ আরোপ) করেছে পরিবেশ অধিদফতর।
বুধবার (০৭ অক্টোবর) শুনানি শেষে এ জরিমানার আদেশ দেন পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন।
জরিমানার আদেশপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- ইসলামপুর ইউনিয়নের নাপিতখালী এলাকার আবদুল গণির ছেলে শরীফ এবং এলাকার আলতাজ আহমদের ছেলে জয়নাল আবেদিন, এনামুল হক ও ফরিদ উদ্দিন।
আদেশে জরিমানার টাকা আগামি সাত কার্যদিবসের মধ্যে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আর পাহাড় না কাটার অঙ্গীকারপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে।
পৃথক আদেশে শর্তভঙ্গের দায়ে সীতাকুণ্ডের খাজা শিপ ব্রেকিং লিমিটেডকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ছাড়পত্রবিহীন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়ে পটিয়ার একুশে ল্যাবকে ১০ হাজার টাকা, সীতাকুণ্ডের জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১৫ হাজার টাকা, পটিয়ার মা-মনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার টাকা, মিরসরাইয়ের রজনীগন্ধা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা ও পপুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা, চন্দনাইশের পপুলার মেডিক্যাল সার্ভিসকে ১০ হাজার টাকা এবং শর্তভঙ্গের দায়ে নোয়াখালীর সোনাপুর এলাকার প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন বলেন, পাহাড় কাটার দায়ে কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালামসহ পাঁচ ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা আগামি সাত কার্যদিবসের মধ্যে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আর পাহাড় না কাটার অঙ্গীকারপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে।
শর্তভঙ্গ ও ছাড়পত্রবিহীন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়ে আটটি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন।