কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলাস্থ প্রবাসী ভাইদের নিয়ে গঠিত উপজেলা প্রবাসী একতা সংঘের স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০আগস্ট) সংগঠনকে আরো গতিশীল ও পরিকল্পনা যথাসময়ে বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোক্তা এডমিন ও প্রতিনিধিদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে ১২ সদস্য বিশিষ্ট স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়।
১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হল যথাক্রমে মুজাম্বিক থেকে রাজাখালীর মুহাম্মদ তানজিদ হাশমী (সনেট), মালয়েশিয়া থেকে মুহাম্মদ সালাহ উদ্দীন (কাজল), সৌদি আরব থেকে মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম, ফ্রান্স থেকে জাহেদুল ইসলাম (জাহিদ), স্পেন থেকে মুহাম্মদ আনিসুল আজম, সৌদি আরব থেকে মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ (খোকন) মালয়েশিয়া থেকে মুহাম্মদ আরকান, মুহাম্মদ জুনাইদ, সৌদি আরব থেকে মুহাম্মদ তাওহিদুল ইসলাম, মুহাম্মদ নুর হোসেন। তাদের সাথে স্থায়ী কমিটিতে রয়েছেন সংগঠনের মূল উদ্যোক্তা এম.এ.এইচ তিতুমীরও। বাকি উদ্যোক্তাদের সম্মতিক্রমে স্থায়ী কমিটি উদ্যোক্তা ও এডমিন প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত স্থায়ী কমিটিতে সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী উদ্যোক্তা হিসেবে এম.এ.এইচ তিতুমীর স্বাক্ষর করেন।
এম.এ.এইচ তিতুমীর জানিয়েছেন, তাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো আগামী ১০ বছরের মধ্যে উপজেলায় শিক্ষার হার ১০০% এ উন্নীত করা এবং তার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা। এছাড়া আগামী ১০ বছরের মধ্যে ১টি মাধ্যম মানের হাসপাতাল নির্মাণ করে দরিদ্র অসহায় মানুষকে ৫০% থেকে শুরু করে প্রয়োজনে বিনা পয়সায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পেকুয়াকে আজীবনের জন্য চিকিৎসা ঘাটতি থেকে মুক্ত করা। আগামী ১০ বছর পরে যেন শিক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ে কষ্ট পাচ্ছে এমন কোন মানুষের চিহ্ন না থাকে। প্রথমত কারিগরি শিক্ষায় গ্রাম গঞ্জের ছেলেমেয়েদের দক্ষ ও পারদর্শী করে তুলতে ৭ ইউনিয়ন এ ৭টি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। ১০ বছরের পরিকল্পনায় ধর্মীয় শিক্ষাকে আরো গতিশীল করতে একটি আধুনিক কামিল মাদ্রাসা, একটি মহিলা মাদ্রাসা, একটি ডিজিটাল গ্যালারি সিস্টেম হাই স্কুল, একটা ক্রিকেট একাডেমি, একটা পাবলিক লাইব্রেরি সহ বেশ কিছু মহৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা থাকবে। যারা স্থায়ী কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তারা সবাই তাদের পরিশ্রম ও যোগ্যতার ভিত্তিতে স্থান পেয়েছেন এবং তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।