শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের এয়াসিন নগর এলাকার খায়রুজ্জমানের পুত্র প্রবাসী মোহাম্মদ মিয়ার সাথে রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মাগন হাজীর দরগাহের পুর্বে ডাবুয়া ইউনিয়ের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিন হিংগলা এলাকার নির্মান শ্রমিক নুরুল আলমের বিয়ে হয় গত ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর। ইসলামী শরিয়ত মতে আনুষ্টানিক ভাবে ৮ লাখ টাকা দেন মোহর ধায্য করে মানসী আকতারকে প্রবাসী মোহাম্মদ মিয়া বিয়ে করে । বিয়ের ১৪দিন পর মানসীর প্রবাসী স্বামী মানসীকে স্বামী মোহাম্মদ মিয়ার ঘরে রেখে মধ্যপ্রাচ্যে চলে যায়। মানসী আকতারের স্বামী মোহাম্মদ মিয়া অসুস্থ হয়ে মধ্যপ্রাচ্য দেশে ফিরে আসে । অসুস্থ অবস্থায় মোহাম্মদ মিয়া দেশে চিকিৎসা করার পর সুস্থ হয়ে উঠেনি। মানসী আকতার অভিযোগ করে বলেন তার তালাক দেওয়া স্বামী মোহাম্মদ মিয়া মানসী আকতারকে বিয়ের পর থেকে শারিরিক সর্ম্পক করতে ব্যর্থ হয়, মোহাম্মদ মিয়া অসুস্থ । মোহাম্মদ মিয়া তার ঘরে তার ভাগ্নে রবিউল হোসেনকে রাখেন ঘরের সব কিছু দেখার জন্য। হঠাৎ মানসী আকতারের সাথে রবিউল হোসেনের অবৈধ সর্ম্পক গড়ে উঠে বলে বদনাম বের করে স্বামী মোহাম্মদ মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা । এই সময়ে রবিউল তার মামী মানসী আকতারকে বিয়ে করবেন বলে শপথ করেন। একই ভাবে মানসী আকতার ও রবিউলকে বিয়ে করার শপথ করেন বলে জানান মানসী আকতার । পরবর্তী মানসী আকতার গত ৫ মে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তার স্বামী মোহাম্মদ মিয়াকে তালাক দেয় । মানসী আকতার তার স্বামী মোহাম্মদ মিয়াকে তালাক দেওয়ার পর গত ২৪ জুলাই রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের জাইল্যা টিলা এলাকার বাসি›দ্বা মোঃ রফিকের পুত্র তালাক দেওয়া স্বামী মোহাম্মদ মিয়ার ভাগ্নে রবিউল হোসেন চট্টগ্রাম নগরীতে গিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দেন মোহর ধায্য করে বিয়ে করে। বিয়ে করার পর মানসী আকতার তার ২য় স্বামী রবিউল হোসেনকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে বাসা ভাড়া করে স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করে। পরে রবিউল হোসেন তার হবু বিয়ে করা স্ত্রী মানসীকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ভাড়া বাসা থেকে রাউজানে মানসী আকতারের পিতার বাড়ীতে আসেন । মানসী আকতারকে রবিউল বিয়ে করার সংবাদ পেয়ে রবিউলের পিতা মোঃ রফিক ও তার স্বজনেরা রবিউলকে কৌশলে মানসী আকতারের কাছ থেকে নিয়ে গিয়ে বাড়ীতে আটক করে। রবিউল অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলে দাবী করে রবিউলের পিতা মোঃ রফিক বলেন, রবিউলকে ফাদেঁ ফেলে মানসী আকতার চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে গিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেছে । রবিউল হোসেন বলেন তাকে মানসী আকতার চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যায় । চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে গিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। বিয়ের পর ভাসা ভাড়া করে মানসী আকতার রবিউলকে নিয়ে বসবাস করেন । এপ্রসঙ্গে মানসী আকতার বলেন রবিউল অপ্রাপ্ত বয়স্ক নয় নোটারী পাবলিকে বিয়ে করার সময়ে তার হলফ নামায় তার জম্ম নিব›দ্বন মতে রবিউলের জম্ম তারিখ,১-১-১১৯৯ ইংরেজী। এ ব্যাপারে রবিউল হোসেনকে নিয়ে তার পিতা মোঃ রফিক গত ১০ আগষ্ট সোমবার রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগের আদালতে উপস্থিত হয়ে রবিউল অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলে অভিযোগ করে। রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ রবিউলকে দেখে ও তার কাছ থেকে বিয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে রবিউল রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেনায়েদ কবিরের কাছে স্বীকার করেন মানসী আকতারকে নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে নোটারী পাবলিকের আদালতে বিয়ে করে। বিয়ের পর মানসী আকতারকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে ভাড়া বাসায় স্বামী স্ত্রী হিসাবে দু দিন দু রাত কাটিয়েছে । রবিউলকে দেখে ও রবিউলের কথা শুনে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বিষয়টি সামাজিক ভাবে অথবা আদালতের মাধ্যমে সমাধান করার নির্দেশ দেয় । একই দিন মানসী আকতার তার মাতা জান্নতুল ফেরেদৌস কেত নিয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগের আদালতে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করলে তাদের বিষয়টি মিমাংসা করতে সামাজিক ভাবে ও আদালতের আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন । মানসী আকতার পুর্বের স্বামী মোহাম্মদ মিয়াকে তালাক দিয়ে মোহাম্মদ মিয়ার ভাগ্নে রবিউলকে বিয়ে করে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করার আশা করলে ও রবিউলের পিতা রফিক ও তার পরিবারের সদস্যদের বাধার কারনে মানসী আকতার বিপাকে পড়েছে ।











