রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে সচেষ্ট হতে হবে

চসিক রাজস্ব সার্কেল কার্যালয় উদ্বোধনকালে মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনাগুলো বাস্তব সম্মত উপায়ে বাড়াতে হবে। ঠিকাদারদের পাওনা বাবদ ১৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। করোনাকালে আমাদের আয়ের প্রধান উপায় রাজস্ব খাত অনেকটা স্থবির। এই অবস্থায় আয়বর্ধক প্রকল্পগুলোর পরিধি বৃদ্ধি এবং রাজস্ব আদায়ের উপর জোর দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে নিয়োজিত জনবলের বেতন-ভাতা প্রদান করা যায়। যাতে সে ব্যাপারে প্রত্যেককে পেশাগত দায়বদ্ধতার পরিচয় দিতে হবে। এতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব,মর্যাদা ও কার্যকারিতা সুরক্ষিত এবং সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। মেয়র বলেন, রাজস্ব বিভাগে কর্মরতরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করতে হবে। তাদের উপরই চসিকের আর্থিক সঙ্গতি নির্ভরশীল। বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স,ট্রেড লাইসেন্সসহ চসিকের আয় সংশ্লিস্ট খাত সমূহকে শক্তিশালী করতে রাজস্ব বিভাগে কর্মরতদের ভূমিকা অপরিসীম। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হলে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। গৃহকর আদায়ের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে নগরবাসীরাও যাতে ট্যাক্সের বিপরীতে তাদের সেবাসমূহ বুঝে পায়। নগরবাসীদের সাথে আচার-আচরণেও হতে হবে মানবিক ও আন্তরিক। এতে করে চসিকের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে। আজ সকালে নগরীর চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সের ৩য় তলায় চসিক রাজস্ব সার্কেল-১ এর কার্যালয় উদ্বোধনকালে মেয়র একথাগুলো বলেন। এসময় কাউন্সিলর মোঃ গিয়াস উদ্দিন, চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সাহেদা পারভীন, কর কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, বশির উদ্দিন, মোসলেহ উদ্দিন, প্রদর্শন দেবনাথ, প্রকাশ বড়ুয়া, শওকত হোসেন, মহিউদ্দিন মানিক, আজম খান, নুরুল ইসলাম, আবুল কালাম প্রমূখ উস্থিত ছিলেন।