পেকুয়া প্রতিনিধি
পেকুয়া উপজেলার মগনামা, শিলখালী ও টৈটংয়ে বিশ্বখাদ্য কর্মসূচী (ডাব্লিউএফপি) অর্থায়নে খাদ্য সহায়তার অংশ হিসাবে বেসরকারী সংস্থা এসএআরপিভি কর্তৃক দেওয়া দ্বিতীয় দফায় বুধবার দুপুরে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া পেকুয়া)’র এমপি জাফর আলম বিএ (অনার্স) এমএ’র সার্বিক সহযোগিতায় এই খাদ্য সহায়তা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মগনামায় নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণের সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী বলেন; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন থাকবেন ততোদিন এদেশে কেউ না খেয়ে থাকার কোন আশংকা নেই। যে কোন সংকট ও দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার বদ্ধপরিকর। এই করোনাকালেও চকরিয়া পেকুয়ায় শেখ হাসিনার প্রতিনিধি এমপি জাফর আলম বিএ(অনার্স) এমএ কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, চকরিয়া পেকুয়ার এমপি জাফর আলম বিএ(অনার্স) এমএ’র প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় ডাব্লিউএফপির চকরিয়ার এসএআরপিভি’র মধ্যে এই দুই উপজেলা কোটি কোটি টাকার খাদ্য সহায়তা প্রদান করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সুষ্টুভাবে এ কর্মসূচীটি বাস্তবায়ন করছে চকরিয়ার বেসরকারী সংস্থা এসএআরপিভি (সোসাল এ্যাসিস্ট্যান্স এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন ফর দি ফিজিক্যালি ভালনারেবল)।
করোনাকালে কর্মহীন হয়ে যাওয়া পরিবারের মধ্যে পেকুয়া উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ৫হাজার ৫শত হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে দ্বিতীয় দফায় ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার এই নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রম ২১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। চকরিয়ায় ১২ জুলাই থেকে দ্বিতীয় দফায় নগদ অর্থ বিতরণের কার্যক্রম এখনও চলছে। বুধবার পেকুয়া উপজেলার মগনামা, শিলখালী ও টৈটং ইউনিয়নে এ নগদ অর্থ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন এসএআরপিভি’র চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাকসুদুল আলম মুহিত, ডাব্লিউএফপি’র প্রোগ্রাম সহকারী বখতিয়ার হোসেন, এসএআরপিভি’র ত্রাণ সমন্বয়ক ইয়াসমিন সুলতানা, উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, এসএআরপিভি’র আক্তার কামাল মিরাজ, ডা. আবদুল মালেক ও জিয়াউর রহিম, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এসএআরপিভি’র চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাকসুদুল আলম মুহিত জানান; এ কর্মসুচীর আওতায় করোনা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় নিম্ন আয়ের চকরিয়া উপজেলার সাড়ে ১৬ হাজার পরিবারকে এ খাদ্য সহায়তার অংশ হিসাবে দ্বিতীয় দফায় ৪ হাজার ৫শত টাকা নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এ কর্মসূচীর আওতায় এসেছে পেকুয়ার ৭ ইউনিয়ন, চকরিয়া উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৮ ইউনিয়নের ১৬ হাজার ৫শত পরিবার। এ কর্মসূচীতে গত মাসে প্রথম দফায় চকরিয়ার ১৬ হাজার ৫শত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে ৩০ কেজি ভাল মানের চাল, ৫ কেজি হাই এনার্জি বিস্কুট। প্রথম দফায় ওই একই সময়ে পেকুয়ায় ৭ ইউনিয়নে ৫ হাজার ৫শত পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। নগদ অর্থ বিতরণের এই একই কর্মসূচী পেকুয়া উপজেলায় ২১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। চকরিয়া ও পেকুয়ায় আগামী মাসে ওই ২২ হাজার উপকারভোগী পরিবারের মাঝে আবারও ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে। গত ১২ জুলাই থেকে চকরিয়া উপজেলায় ১৮ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ৭ কোটি ৪২লাখ ৫০হাজার টাকার নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রম চলছে।