শফিউল আলম, রাউজান : রাউজানে যুবদল কর্মী ইব্রাহিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাউজান থানায় দায়ের করা মামলায় দৈনিক প্রিয় সময় পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ রনিকে আসামি করায় তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে রাউজান জুড়ে । একই সাথে রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা বানিজ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল দুপুরে রাউজান সদর ইউনিয়নের শমসের নগর গ্রামের গাজী পাড়া এলাকায় একটি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী রায়হান ও দামা ইলিয়াছের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে যুবদল কর্মী ইব্রাহিমকে। ঘটনাস্থলে সেই মারা যায়। ঘটনার দুই দিন পর নিহতের মা খালেদা বেগম ৮ জনের নাম উল্লেখ করে রাউজান থানার একটি হত্যা মামলা দায়েরে করেন। মামলার এজাহারে ৮ নম্বর আসামী করা হয় চট্টগ্রামের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রিয় সময় পত্রিকার সম্পাদক শহিদুল্লাহ রনিকে।
২৬ এপ্রিল(শনিবার) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন প্রকৃত সত্যকে আড়াল করতে হত্যা মামলায় নিরপরাধ লোকজনকে আসামী করা হচ্ছে। মামলা থেকে বাদ দেওয়ার নামে টাকা দাবি করা হচ্ছে। তিনি প্রশাসনকে প্রকৃত খুনিদের আটক করতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখার আহবান জানান। একই সাথে নিরপরাধ লোকজনকে মামলা থেকে অব্যহতি প্রদানের অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে মামলার বাদী খালেদা বেগমকে ফোন করলে ফোন রিসিভ করেন নিহত ইব্রাহিমের ভাই শাহা আলম। তিনি বলেন, শহিদুল্লাহ রনি নামে কাউকে আসামী করা হয়েছে কিনা আমি জানি না। এ সবকিছু আমার চাচা আবদুল হালিম জানেন। তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত, তিনি মামলার দেখভাল করছে। আমরা আতংকিত রাত হলে পূর্ব রাউজান জোরের কুল এলাকায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতংকিত করে খুনিরা।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বাদী এজাহারে শহিদুল্লাহ রনির নাম দিয়েছে। এখানে আমাদের কিছুই নেই। আমরা মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হবে রনিকে। যারা প্রকৃত খুনের ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আটকের চেষ্টা চলছে