শাহ আলমের খামারে অর্ধ কোটি টাকার সবজি, কোটি টাকার গরু উৎপাদন

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রাউজান রাবার বাগান ও রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের চিকনছড়া । দুই জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকায় ৪০ একর পাহাড়ী জমিতে রাউজানের হাজী পাড়ার শাহ আলম বিভিন্ন প্রজাতির ফলের বাগান, সব্জি ক্ষেত, পাহাড়ের নিচে জমিতে পুকুর খনন করে গড়ে তোলেছে মৎস প্রকল্প । শাহ আলমের ফলের বাগানে রয়েছে আম, কাঠাল, পেপেঁ, লেবু, সরিফা, আমলকী, হরিতকি, জমবুরা, জামরুল, পেয়ারা,থাই পেয়ারা, জলপাই,থাই জলপাই, কলা গাছের বাগান। একই সাথে পাহাড়ী জমিতে বরবটি, জিঙ্গা, ঢেড়শ, কাকরল, আদাঁ,হলুদ, লাঊ, ক্ষেতের চাষবাদ । পাহাড়ে নিচে এক একর ২০শতক জমিতে পুকুর খনন করে পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছে ব্যবসায়ী শাহ আলম।মাছ চাষের পুকুরে রুই,কাতলা, মৃগেল, শিং, তেলাপিয়া মাছ রয়েছে । ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন পাহাড়ী জমি ক্রয় করে ফল ও সব্জির চাষাবাদ, মাছ চাষ করতে খরচ হয়েছে ২ কোটি টাকার মতো । প্রতি বৎসর পাহাড়ী এলাকার জমি থেকে উৎপাদিত সব্জি ও ফল, মাছ চাষের প্রকল্প থেকে উৎপাদিতমাছ বিক্রয় করে অর্ধ কোটি টাকা পাওয়া যায় । শাহ আলমের ফলের বাগান ও সব্জি ক্ষেতে, মাছ চাষের প্রকল্পে শাহ আলম সহ ৫জন কর্মচারী রয়েছে । শাহ আলম ৫জন কর্মচারীদের নিয়ে ফলের বাগান ও সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদে কাজ করেন প্রতিুিদন । শ্হা আলমের ফল বাগান ও সব্জি ক্ষেত, মাছ চাষের প্রকল্পে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যমেরা । ব্যবসায়ী শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, তার ফলবাগানে ও সব্জি ক্ষেতের প্রকল্পে রাঙ্গামাটি জেলা এলাকা থেকে দেওয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিদ্যুৎ লাইন থাকলে ও নিয়মিত বিদ্যুৎ ণা থাকায় সমস্যা হয় । পাশে রাউজান রাবার বাগান এলাকায় চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর বিদ্যুৎ ল্ইানের খুটি রয়েছে । চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ’ সমিতি ২ এর বিদ্যুৎ ল্ইানের সংযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করা হলে ও চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ দেয়নি । বিদ্যুতের কারনে ফল বাগান ও সব্জি ক্ষেতে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে ।

রাউজানের শাহ আলমের প্রগতি ডেইরী ফার্মে কোটি টাকার গরু মজুদ
রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের হাজী পাড়ার ব্যবসায়ী শাহ আলম রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রাউজান রাবার বাগান ও রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের চিকনছড়া এলাকায় দু জেলার সীমানতবর্তী পাহাড়ীূ এলাকায় গড়ে তোলেছেন প্রগতি ডেইরী ফার্ম । শাহ আলম প্রতি বৎসর কোরবানীর সময়ে তার ডেইরী ফার্মে লালন পালন করা কোটি টাকার গরু বিক্রয় করে । এবৎসর ও শাহ আলম তার ডেইরী ফার্ম থেকে কোটি টাকার গরু বিক্রয় করবে । শাহ আলম জানান তার মালিকানাধীন প্রগতি ডেইরী ফার্মে মাঝারী থেতে বড়সাইজের ৮০টি গরু রয়েছে । ৮০ টি গরুর মধ্যে ৭০টি গরু কোরবানীর জন্য বিক্রয় করবে । পরিশ্রমি ব্যবসায়ী শাহ আলম ডেইরী ফার্ম করে সারা বৎসর গরু লালন পালন করে গরুগুলো বড় করে প্রতি বৎসর কোরবানীর সময়ে বিক্রয় করেন । পবিত্র ঈদুল আজহার সময়ে ব্যবসায়ী শাহ আলম গরু বিক্রয় করে তার খরচ বাদ দিয়ে লাভ করা টাকা দিয়ে পরিবারের ব্যয়ভার বহন করেন। ব্যবসায়ী শাহ আলমের ডেইরী ফার্মে কোরবানীর জন্য বিক্রয় করার জন্য মজুদ করা গরু ছাড়া ও রয়েছে উন্নত জতের গাভী । গাভী থেকে প্রতিদিন যে দুধ উৎপাদন করা হয় দুধগুলো বাজারে বিক্রয় করে। এছাড়া ও ব্যবসায়ী শাহ আলমের ডেইরী ফার্মে গরু লালন পালন করা ছাড়া ও ছাগল, দেশী মুরগী হাস লালন পালন করেন । ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন কোরবানীর সময়ে বিক্রয় করার জন্য লালন পালন করা গরু চট্টগ্রাম সহ রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে গরু ক্রয় করার জন্য শাহ আলমের ডেইরী ফার্মে আসতে শুরু করেছে । করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে এবৎসর কোরবানীর জন্য মজুদ করা গরু সঠিক মুল্যে বিক্রয় করতে পারবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ব্যবসায়ী শাহ আলম ।