দীর্ঘদিন বন্ধের কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে কাপ্তাইয়ের পর্যটন খাত

নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই অপরুপ সৌন্দয্যের লীলাভুমি কাপ্তাই উপজেলা। কাপ্তাইয়ের প্রতিটি স্থানেই রয়েছে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য। সবুজ পাহাড়, লেক, কর্ণফুলী নদীসহ আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ যে কোন মানুষের মনকে আকর্ষণ করে সহজেই। বাড়তি আকর্ষণ ও ভ্রমণ পিপাসুদের বিনোদন প্রদানের প্রয়াসে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের গাঁ-ঘেষে নির্মিত হয়েছে আকর্ষণীয় বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র। ’পাহাড়, সবুজ বৃক্ষ, কর্ণফুলী নদীসহ বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় স্পট গুলোতে এসময় হাজার হাজার ভ্রমন পিপাসুদের আগমন ঘটলেও করোনা সংক্রামন প্রতিরোধে দীর্ঘ দু’মাসের অধিক সময় পর্যটক শূণ্য হয়ে বিনোদন স্পট গুলো প্রাণহীন হয়ে পড়ে আছে। শুধু তাই নয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে পর্যটন স্পট মালিকদের গুনতে হচ্ছে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি। কাপ্তাই উপজেলায় ছোট বড় মিলে ৮ টি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে বিজিবি পরিচালিত ওয়াগ্গা প্যানোরোমা জুম রেস্তোরা, বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্র,বন বিভাগের প্রশান্তি, কাপ্তাই সেরাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত লেকভিউ ও লেকশো’র এবং কাপ্তাই নৌ-বাহিনী পরিচালিত লেক প্যারাডাইসে সারা বছর ধরে পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে। এখন সরকারি নির্দেশনায় অফিস আদালত, পরিবহন সব কিছু সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খোলা হলেও বন্ধ রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগলো। কাপ্তাই বালুচর প্রশান্তি পিকনিক স্পটের পরিচালক মোঃ নাছির উদ্দিন জানান, দু:মাসের অধিক সময় ধরে বন্ধ হয়ে আছে কাপ্তাইয়ের সব বিনোদন কেন্দ্র। ফলে চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িতদের। বনশ্রী পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রুবায়েত আক্তার আহমেদ চৌধুরী জানান, পর্যটক শূণ্য কাপ্তাই এখন অনেকটা বিরানভূমি। ফলে দিন দিন ক্ষতির মাত্রা বাড়ছে আমাদের। বিশেষ করে বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত পর্যটন কেন্দ্রগলোর অবস্থা খুবই খারাপ। তাই এই পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে এখন দরকার সরকারি প্রানোদনা।