মোঃ নজরিল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই।
কাপ্তাই উপজেলাধীন কাপ্তাই ইউনিয়নের জাকির হোসেন ‘স’ মিল সংলগ্ন শিল্প এলাকায় বসবাসরত মোঃ নুরুল আমিন অরুপে নুরু মিস্ত্রী দীর্ঘ বছর যাবৎ কাপ্তাইয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে স্থায়ী ভাবে বাসবাস করে আসছে। স্ত্রী, ২ ছেলে ৪ মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার তাদের। কিন্তু হঠ্যৎ করে তার সুখের সংসারে গত ৮-৯ মাস যাবৎ দুঃখের যন্ত্রণা আর কান্না বয়ে চলছে। নুরু মিস্ত্রির বিবাহিত বড় মেয়ে নাজমা আক্তার নাজু (৩৫) মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ৮-৯ মাস পূর্বে হঠ্যৎ নাজমা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। পরীক্ষায় নাজমার ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়ে। প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করে টিউমার অপারেশন করা হয়। এতে সে ভাল হয়। বিধিবাম, ফুসফুসে টিউমার ভাল হলেও কিছু দিনপর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে পুনরায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে তার শরীরে মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে।
এমন সংবাদে পরিবার-পরিজন কান্নায় ভেঙে পড়ে। স্ত্রীর ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার কথা শুনে পাষণ্ড স্বামী শামসুল আলম নাজুকে তার বাবা-মার নিকট ফেলে রেখে চলে যায়। অসহায় বাবা নুরু মিস্ত্রি মেয়ের চিকিৎসার জন্য সহায় সম্বল জায়গা-জমি সব কিছু বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। ১৫দিন অন্তর ক্যান্সার থেরাপি দিতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। মেয়ের চিকিৎসা করাতে এবং থেরাপি দিতে না পারায় প্রতিদিন ঘরের মধ্যে চলে কান্নাররোল। অসুস্থ নাজমা আক্তার নাজু বলেন, মানুষের দয়া ও সহযোগিতায় তিনি বাঁচতে চান। তাকে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে সে বাঁচতে পারে এমনটাই আশা নাজমার। টাকার অভাবে দিন দিন মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ছে ক্যান্সার আক্রান্ত নাজমা আক্তার নাজু। তার অসহায় পিতা মোঃ নুরুল আমিন অরুপে নুরু মিস্ত্রি তার মেয়ের সু-চিকিৎসার জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের নিকট সাহায্যের আবেদন জানান। কেউ সাহায্য অথবা যোগাযোগ করতে চাইলে এই নাম্বারে বিকাশ বা ০১৮৭০২৬৫৮৭১ (মোঃ নুরুল আমিন) সাহায্য পাঠাতে পারেন।
