ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের নাপিতখালী বন বিটে নির্বিচারে পাহাড় কেটে মাটি পাচার করা হচ্ছে। এতে মারাত্মকভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পাহাড়খেকোদের উৎপাত বেড়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বনভুমি পাহাড়ের মাটি নিয়ে চলছে বাণিজ্য।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র নুরুল হক প্রকাশ ডাম্পার নুরুল হক সিন্ডিকেট
নাপিতখালী বনবিট কার্যালয়ের সামনে দিয়ে মাটি ভর্তি গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কপথ হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে গেলেও বিট কর্তৃপক্ষ নীরব থাকে। প্রচার আছে সব পক্ষকে ম্যানেজ করে চলছে পাহাড় কাটা।
নাপিতখালী ভিলেজার পাড়ার বাসিন্দা আবুল খাইর জানান, পাহাড় কাটায় জড়িতদের সঙ্গে স্থানীয় বনকর্মীদের যোগসাজশ রয়েছে। তাই নির্বিঘ্নে পাহাড় কাটা ও মাটি পাচার চলছে।
ভিলেজার খালেক মিয়া জানান, গেল রাতে পুলিশের অভিযানে মাটি ভর্তি নুরুল হকের ডাম্পার গাড়ি আটক করে ঈদগাঁও থানা পুলিশ। ঐ গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে রাতভর চলে নানা দেনদরবার।
স্থানীয়রা জানান, পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত নুরুল হক এলাকার চিহ্নিত লোক। পরিবেশ বিধ্বংসী কাজে জড়িত থাকায় তার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর প্রতিবেদনও দাখিল করেন। এ নুরুল হক নাপিতখালী বনাঞ্চলের ভিলিজারপাড়া, ড়ুলা ফকির মাজার ও ইউছুপের খিল এলাকায় প্রতি দিন বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে মাটি ও গাছ কাটে নির্বিচারে। বিশেষ করে প্রায় প্রতিদিনই রাতের অন্ধকারে পাহাড় কেটে মাটি ডাম্পারযোগে পাশের এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় পাহাড়ের মাটি পাচার। রাতভর চলে এই কাজ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন নুরুল হক।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বনাঞ্চলে নিয়োজিত ভিলেজাররা পাহাড়খেকোদের কাছে অসহায়। তারা পাহড় নিধনে বাধা দিতে সাহস পান না। কারণ বনবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা চলে। নিম্ন পর্যায়ের কেউ পাহাড় কাটায় বাধা দিলে ঊর্ধ্বতনদের রোষানলে পড়তে হয়।
এ ব্যাপারে নাপিতখালী বনবিট কর্মকর্তা জুয়েল চৌধুরী বলেন, যোগদান করেছি মাত্র ১ মাস হলো।
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সীমিত লোকবল দিয়ে প্রতিরোধ করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। তবুও পাহাড়াখেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যহত থাকবে
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশিক আহসান বলেন, ‘পাহাড় কাটা বন্ধে বন বিভাগের তৎপরতা রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পাহাড়কাটা প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।