চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সাগর পাড়ের জমিতে উৎপাদিত তরমুজ ক্রয়-বিক্রয়ের কদর বাড়ছে

শফিউল আলম, রাউজান ঃ চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার ৬ নং ইছাখালী ইউনিয়নের ইছাখালী জাহাজ মারা চর, শিল্প জোনের জিরো পয়েন্ট এর উত্তরে, পুর্বে, টেকের হাট, মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায়, সীতাকুন্ড উপজেলার কুমিরা, ভাটিয়ারী, চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা বেড়ীবাধ, লালাদিয়ার চর, আনোয়ারা উপজেলার গহিরা, পারকির চর সহ সাগর পাড়ের বিপুল পরিমান জমিতে শুস্ক মৌসুমের শুরুতেই কৃষকরা তরমুজ চারা রোপন করেন ।

সাগর পাড়ের চর ও চরের পাশবর্তী ফসলী জমিতে উৎপাদিত তরমুজ অন্য এলাকার তরমুজের চেয়ে স্বাধ বেশী । সাগর পাড়ের চর ও জমিতে উৎপাদিত তরমুজ চট্টগ্রাম জেলার সকল উপজেলার হাট বাজার ও ষ্টেশনে বিক্রয় করছে ব্যবসায়ীরা । এছাড়া ও চট্টগ্রাম নগরীর অলি গলিতে, ষ্টেশন ও হাট বাজারে তরমুজ বিক্রয় করছে ব্যবসায়ীরা । পবিত্র রমজান উপলক্ষে ইফতারের সময়ে তরমুজের চাহিদা বেশী । ইফতার সময়ে তরমুজ খেয়ে রোজাদারেরা তৃষ্ণা নিবারন করেন ।

সাগর পাড়ের চর ও জমি থেকে উৎপাদিত তরমুজ দিয়ে শরবত তৈয়্রাী করে তরমুজের শরবত দিয়ে রমজানে ইফতার করেন রোজাদারেরা । এ বৎসর রমজান মাসে তরমুজ বিক্রয়ের ধুম পড়েছে বাজারে। প্রতিটি বড় সাইজের তরমুজ ৬শত টাকা থেকে ৫শত টাকা, মাঝারী সাইজের তরমুজ প্রতিটি ২শত টাকা থেকে ৪শত টাকা, ছোট সাইজের প্রতিটি তরমুজ ১শত টাকা থেকে দেড়শত টাকা বিক্রয় করছে ব্যবসায়ীরা । সাগরের পাড়ে চওে ও ফসলী জমিতে উৎপাদিত তরমুজ ক্ষেত থেকে কার্ভাড ভ্যানে ও ট্রাক জীপ ভর্তি করে ব্যবসায়ীরা কৃষক থেকে ক্রয় করে নিয়ে যায় । কৃষকরা ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে কার্ভাড ভ্যানে ও ট্রাকে করে চট্টগ্রাম নগরীর ফলেল আড়ত ও ঢাকায় ফলের আড়তে বিক্রয় করেন ।

আড়তদারেরা কৃষকদের উৎপাদিত তরমুজ তাদের আড়রেত রেখে ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রয় করেন । ব্যবসায়ীরা হাট বাজার ষ্টেশন অলি গলিতে তরমুজ লোকজনের কাছে বিক্রয় করেন। নোয়াখালী জেলাার সুবর্ণার চর এলাকার বাসিন্দ্বা কৃষক আবদুর রহমান চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ৬ নং ইছাখালী ইউনিয়নের ইছাখালী জাহাজ মারা চরে ৫১ একর আয়তনের জমিতে তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদ করেন । কৃষক আবদুর রহমান বলেন, ৫১ একর জমিতে তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদ করতে তার খরচ হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। ফলন ভাল হলে বাজার দর পেলে ৫১ একর জমি থেকে উৎপাদিত তরমুজ বিক্রয় করে খরচ বাদ দিয়ে ৪ কোটি টাকা আয় করতে পারবো । প্রতি বৎসর শুস্ক মৌসুমে আবুদুর রহমান সহ সুর্বণা চর ও সোনাগাজী এলাকার শতাধিক কৃষক নোয়াখালী, সুবর্ণা চর সোনাগাজী, চট্টগ্রাম জেলার সাগর পাড়ের চর ও ফসলী জমিতে তরমুজ ক্ষেত এর চাষাবাদ করেন । মৌসুম শেষে তরমুজ বিক্রয় করে যে টাকা আয় করেন সারা বৎসর ঐ টাকা দিয়ে পরিবার পরিজনের ব্যয়ভার বহন করেন । মিরসরাই এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির বলেন, মিরসরাই সাগর পাড়ের চর ও জমিতে তরমুজ ক্ষেত থেকে তরমুজ বিক্রয় করে প্রচুর পরিমাণ টাকা আয় করছেন কৃষকরা ।

রাউজানের ফকির হাট বাজারের ব্যবসায়ী বাহাদুর বলেন, প্রতিদিন মিরসরাই ও পতেঙ্গা সাগর পাড়ের ফসলী জমির তরমুজ ক্রয় করে এনে আমি ও অনান্য ব্যবসায়ীরা বিক্রয় করছি । রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুম কবির বলেন, রাউজানের ডাবুয়া ও হলদিয়া, চিকদাইর, পশ্চিম বিনাজুরী, পশ্চিম সুলতানপুর, সুলতানপুর কাজী পাড়ায় ফসলী জমিতে তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদ করেছে কৃষকরা । রাউজানের হাট বাজার ও রাউজান পৌরসভার পশ্চিম সুলতানপুর সরতের দোকান এলাকায় চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়কেতর পাশে গড়ে উঠা বাঙ্গী ও তরমুজ বিক্রয়ের হাটে প্রতিদিন তরমুজ বিক্রয় হয় । তবে সরতের দোকান এলাকায় প্রতিদিন কোটি টাকার বাঙ্গী ও তরমুজ বিক্রয় হয়। হাট বাজার ও সরতের দোকান এলাকায় বিক্রয় করা তরমুজের মধ্যে বেশীর ভাগ তরমুজ চট্টগ্রানের সাগর পাড়ের চর ও জমিতে উৎপাদিতহ তরমুজ ।