প্রখ্যাত সাংবাদিক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মরহুম এম ওবায়দুল হকের পুত্র ইব্রাহীম আজাদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে সিইউজে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় সিইউজে সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় সিইউজে নেতৃবৃন্দ বলেন, সিনিয়র সাংবাদিক ইব্রাহীম আজাদ ছিলেন সৎ, নিষ্ঠাবান ও সাহসী সাংবাদিক। অদম্য ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে তিনি সামাজের অসঙ্গতি–বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। হয়ে উঠেছিলেন গণমাধ্যম জগতের নক্ষত্রসম ব্যক্তিত্ব হিসেবে । সত্য প্রকাশে তিনি ছিলেন নির্ভীক, দ্বিধাহীন ও অসংকোচ। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সাংবাদিকতার সুদীর্ঘ যাত্রাপথে একাধিক টেলিভিশনে বার্তা সম্পাদক, লেখালেখিসহ নানা ক্ষেত্রে রেখে গেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ইব্রাহীম আজাদের পেশাদারিত্ব উদাহরণীয়। তাঁর মৃত্যু সাংবাদিক সমাজের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। নেতৃবৃন্দ মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন।
এদিকে রোববার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানের বাসায় ইব্রাহীম আজাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এক মাস আগে হাসপাতালে হৃদপিণ্ডে রিং পরানোর পর তিনি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছিলেন। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে নামাজে জানাজার পর তাঁর মরদেহ চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীর নিজ জন্মস্থান ধলইতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সাংবাদিকতা জীবনে ইব্রাহীম আজাদ নানা প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি একটি গ্রুপ অব কোম্পানির মিডিয়া উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করেছিলেন। এর আগে এটিএন বাংলা, দীপ্ত টিভি, এখন টিভি ও নিউজ২৪–এ বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৯৯ সালে একুশে টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠালগ্নে প্ল্যানিং এডিটর হিসেবে সম্প্রচার সাংবাদিকতায় যাত্রা শুরু করেন ইব্রাহীম আজাদ। পেশাজীবনের শুরু ছিল প্রিন্টমিডিয়ায়। ভোরের কাগজ দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করা ইব্রাহীম আজাদ প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠালগ্নেও জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন।










