এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ফুটবলের জন্য দেয়া হবে: আসিফ মাহমুদ

এক সময় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম নিয়ে ক্রিকেট ও ফুটবলে চলত কাড়াকাড়ি। একই মাঠে ক্রিকেট ও ফুটবল আয়োজন নিয়ে বেগ পোহাতেও হতো। মিরপুরে হোম অব ক্রিকেট তথা শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম শুধুমাত্র ক্রিকেট আয়োজনে উৎসর্গ করা হলে এই সংকট কেটে যায়। এরপর থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুধু ফুটবলই আয়োজন করা হয়ে আসছিল। যদিও বর্তমানে স্টেডিয়ামটির সংস্কার কাজ চলছে। এদিকে চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নিয়মিত ক্রিকেট আয়োজন শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গুরুত্ব হারিয়েছে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম। সেই স্টেডিয়াম নিয়ে নতুন করে ভাবছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হওয়ার পর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আর সেভাবে ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয় না। মাঠটিতে ঘরোয়া ফুটবলের ম্যাচই বেশি আয়োজন করা হয়ে থাকে। ঐতিহাসিক এই স্টেডিয়ামে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধাই বিদ্যমান।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও ক্রিকেট ও ফুটবলের জন্য আলাদা ডেডিকেটেড স্টেডিয়ামের কথা চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

সোমবার (২১ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় বাফুফে নির্বাচন, ফুটবলের বর্তমান অবস্থাসহ নানান বিষয়ে বাফুফের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সে সময়ই জানান, চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামকে ফুটবলের জন্য ডেডিকেটেড স্টেডিয়ামে পরিণত করার কথা।

ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম ক্রিকেটের জন্য যেহেতু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম আছে, সেহেতু আমরা চাচ্ছি ফুটবলের জন্য এমএ আজিজ স্টেডিয়ামকে ডেডিকেটেডলি ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে।’

উল্লেখ্যে, এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ১৯৮৮ সালের অক্টোবরে প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে মাঠে গড়ায়। এই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে শেষবার ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়। সে ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে।

এই মাঠে ২০০১ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে শেষবার এই মাঠে টেস্ট গড়ায়। এই ম্যাচেই বাংলাদেশ টেস্টে প্রথমবারের মতো জয়ের স্বাদ পেয়েছিল।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফুটবল আয়োজনও বন্ধ হয়ে আছে। মাঠ সংস্কারের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন আগে শুরু হলেও এখনও নতুন করে খেলা মাঠে গড়ানো অনিশ্চিত। এ ব্যাপারেও ক্রীড়া উপদেষ্টা কথা বলেছেন। ডিসেম্বরের মধ্যেই এই স্টেডিয়াম ম্যাচ আয়োজনের উপযোগী হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।