বড় পরিসরে সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। বিশাল সমুদ্র এলাকাজুড়ে চলবে এই মহড়া, যা শেষ হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। বিশ্লেষকদের ধারণা, প্রতিপক্ষকে নিজেদের সক্ষমতা দেখাতেই এই যৌথ মহড়া শুরু করেছে দেশ দুটি। এদিকে, ওয়াশিংটন যেন এশিয়াতে মস্কোকে টেক্কা দেয়ার চেষ্টা না করে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে উত্তপ্ত বিশ্ব রাজনীতি। একে অপরকে নিজেদের সামর্থ্য প্রদর্শনের কৌশলে মত্ত পরাশক্তির দেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রকে কোণঠাসা করতে বেশ কয়েক বছর ধরেই নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে চীন ও রাশিয়া। এর অংশ হিসেবে চলতি মাসে কয়েকটি যৌথ মহড়ার ঘোষণাও দিয়েছে দেশ দুটি।
মঙ্গলবার আর্কটিক অঞ্চলে এবং এশিয়া-প্যাসিফিকসহ আশপাশের বিশাল সমুদ্রে ‘ওশান-২০২৪’ নামে নৌ ও বিমান মহড়া শুরু করেছে চীন ও রাশিয়া। যা চলবে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
মস্কো জানিয়েছে, এই মহড়ায় অংশ নেবে ৪০০ নৌ-জাহাজ, অন্তত ১২০টি যুদ্ধবিমান ও ৯০ হাজারের বেশি সৈন্য। মহড়া পর্যবেক্ষণে অন্তত ১৫টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, এমন মহড়া কৌশলগত। জাপান সাগর ও ওখোটস্ক সাগরের কাছে জলসীমা ও আকাশসীমায় নিরাপত্তা হুমকির জবাব দিতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, চীনের সঙ্গে মহড়ায় অংশ নিয়ে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দেয়াটাই রাশিয়ার মূল উদ্দেশ্য। তারা মূলত দেখাতে চায়, ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ চালানোর মধ্যেও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামরিক শক্তি মোতায়েন করতে পারে ক্রেমলিন। আর চীনের লক্ষ্য, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করা। এতে দক্ষিণ চীন সাগর ও জাপানের আশপাশেও তাদের প্রভাব বাড়বে।
মঙ্গলবার এক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন যেন এশিয়াতে মস্কোকে টেক্কা দেয়ার চেষ্টা না করে।