করোনাভাইরাস মহামারিতে এবার ‘কৃষকের অ্যাপ’ দিয়ে ২২ উপজেলা থেকে বোরো ধান কিনবে সরকার।
এর আগে গত আমন মৌসুমে সরকার সাত বিভাগের ১৬ উপজেলা থেকে পরীক্ষামূলক অ্যাপে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করেছিল।
চলতি বোরো মৌসুমে ৬৪ জেলা থেকেই অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করতে চেয়েছিল সরকার। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারিতে সেটি আর হয়ে উঠছে না।
সোমবার যে ২২টি উপজেলা থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করা হবে তা নির্ধারণ করে দিয়ে সোমবার খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
‘কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে এবার যে ২২ উপজেলা থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে সেগুলো হলো ঢাকার সাভার উপজেলা, গাজীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, ভোলা, নওগাঁ, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা (সদর দক্ষিণ) এবং বরিশাল সদর উপজেলা
চলতি বোরো মৌসুমে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মিলারদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ছয় লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনা হবে।
কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন ও ধান সরবরাহের আবেদন করা যাবে আগামী ৭ মে পর্যন্ত।
কৃষকের অ্যাপে যেভাবে বিক্রি করা যাবে বোরো ধান
প্রথমে স্মার্টফোনে Play Store থেকে krishoker app ডাউনলোড করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
কৃষকের স্মার্টফোন না থাকলে ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্রে গিয়ে তিনি এ সেবা নিতে পারবেন। ধানের নাম, জমির পরিমাণ, কী পরিমাণ ধান বিক্রি করতে চান সেসব তথ্য জানিয়ে ওই অ্যাপের মাধ্যমে সরকারের কাছে ধান বিক্রির আবেদন করতে হবে।
এরপর নিবন্ধন, বরাদ্দের আদেশ ও দাম পরিশোধের সনদসহ তথ্য এবং ধান বিক্রির জন্য কবে কোন গুদামে যেতে হবে, সেসব তথ্য এসএমএসে কৃষককে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আবেদনকারী বেশি হলে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে ধান কেনা হবে।
বেশি আবেদনকারী হলে একটি অপেক্ষামাণ তালিকা করা হবে। যার পরের কিস্তিতে ধান বিক্রি করতে পারবেন।